অন্যান্য

ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি :  গত ক’দিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি  ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
৩০ জুন বুধবার ভোরে সোমেশ্বরী, মহারশীও কালঘোষা নদীতে উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।  সোমেশ্বরী নদীর পানিতে তার ইউনিয়নের ৬/৭টি গ্রাম তলীয়ে গেছে। পানির তোড়ে বাগেরভিটা চাপাতলী ব্রীজটি হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে।
মহারশি নদীর পানিতে সদর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে মহারশির নদীর বিভিন্ন স্হানে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
দিঘীরপাড়র বন্যানিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে ফসলী জমিতে বালুর স্তর পরেছে। মহারশি নদীর রামের কুড়া বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে উপজেলা পরিষদ চত্বর ২থেকে ৩ফুট পানির নিচে তলীয়ে যায়। ব্যাহত হয় প্রশাসনিক কর্মকান্ড।
 গৌরিপুর ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, মহারশি  নদীর রামনগর এলাকায় পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ফসলি জমির উপর বালুর স্তর পরে ব্যাপক  ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ঢলের পানিতে তলিয়ে অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
কাংশা ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্তাপ্ত চেয়ারম্যান মজনু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলীয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে।
হাতিবান্দাইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর  জানান, তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলীয়ে গেছে, ৭/৮টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোকলেছুর রহমান খান জানান,  ঢলের পানি বাজারে প্রবেশ করে ব্যাবসায়ীদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন , তার ইউনিয়নে এখনও কোন প্লাবিত হয়নি। তবে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আল মাসুদ বলেন, ঢলের পানিতে তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তালিকা প্রনয়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *