বেতন-ভাতা কর্তনের শংকায় ক্ষুব্ধ সিবিএমসিবি’র চিকিৎসকরা
তফাজ্জল হোসেন: জীবন নিয়ে মানুষ যখন শংকাবোধ করে তখন মানুষের নির্ভর করতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও এর স্টাফদের উপর। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের জীবন-জীবিকা নিয়ে যখন শংকা তৈরি হচ্ছে তখন তারা পাচ্ছে না সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা। বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, স্টাফদের চাকুরি ও বেতন কাঠামো নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট কোন গাইড লাইন না থাকায় এরকম জটিলতায় রয়েছেন দেশের সকল বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গভর্নিং বডিসহ কর্তৃপক্ষের যাচ্ছেতাই নিয়ম-নীতিতেই চাকুরি করতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এরকম জটিলতায় ভুগছেন কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম বেসরকারী মেডিকেল কলেজ এটি। প্রথম দিকে ময়মনসিংহ শহরের বাউন্ডারী রোডের একটি বাড়িতে এর কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৯৫ সনে ময়মনসিংহ শহর থেকে ১০ কি.মি দূরে চুরখাইয়ের উইনারপাড় এলাকায় ১৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এ কলেজ হাসপাতালটি। অধ্যাপক ডা. এ আই এম মোফাখখারুুল ইসলাম সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণ মূলক চিন্তা থেকে ১৯৯৪ সালে কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার সঙ্গে আরো ৩০ জন সদস্য যুক্ত থাকেন। এই ফাউন্ডেশনের মালিকানায় পরিচালিত হয়ে আসছে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি। বর্তমানে এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাকার্যক্রম এবং ৬৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল রয়েছে ।
অধ্যাপক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম শুরুতে মানুষের কল্যাণে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কলেজ হাসপাতালটি পরিচালনা করেন। ফলে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কর্মরত চিকিৎসক এবং কর্মচারীগণও প্রতিষ্ঠান গড়তে অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রম প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানটির অ্যালমো’র সভাপতি ও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মোর্শেদ উদ্দিন বলেন, “শুরুতে আমি প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৪০০০/ টাকা বেতন নেই। তা থেকেও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে বিভিন্ন খরচ করতে হতো।” এ প্রসঙ্গে অ্যালমো’র সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন, শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আমরা বেতন না নিয়েও দীর্ঘদিন কাজ করেছি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কোনো পে-স্কেলে বেতন হয়নি। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম বলেছিলেন- কাজ কর, এক দিন অনেক বেতন পাবে। ২০০৩ সালে পে-স্কেলে বেতন প্রদানের ঘোষণা করা হয়। ২০০৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন অবকাঠামো বেড়েছে, প্রতিষ্ঠানটি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত একজন চিকিৎসক বলেন, কলেজ-হাসপাতালের খরচসহ ফাউন্ডেশন মেম্বারদের ব্যয়বহুল খরচের পরও করোনার মধ্যে ২০২১ সালে কোটি টাকার উপরে প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত থেকেছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই ২ কোটি ৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে তিনি জানান। হাসপাতালের আয় বাড়াতে কলেজ-হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে আউটডোর সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, শহরে আমার চেম্বারে একজন রোগী ভিজিট প্রদান করেন ৮০০ টাকা। অথচ এখানে ৪০০ টাকায় রোগী দেখছি। এতে রোগীরা কিছুটা উপকৃত হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন বাড়তি সুবিধা প্রদান করছে না। বরং আমাদের প্রদত্ত সুবিধা কর্তন করার জন্য ফাউন্ডেশন ও গভর্নিং বডিতে বিভিন্ন তৎপরতা চলছে বলে শুনছি। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরো বলেন, বেসরকারী অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরিক্ষা নিরীক্ষাসহ অপারেশন ও অন্যান্য কাজের রেটের মধ্যেও তাদের বেতনের একটি অংশ যুক্ত থাকে। এ প্রতিষ্ঠানে আমরা বেতন ও ভাতা ছাড়া বাড়তি কোন সুবিধা পাই না। ” গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি ডা. মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ২০০৫ সালে তখনকার বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে পে-স্কেলের চেয়ে ৩০% বেশি বেতন কর্র্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে। অথচ দেশে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান অবস্থায় প্রতিষ্ঠান সক্ষমতা ঘাটতির কথা বলে ২০১৬ সালে সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ১০% বেতন কর্তন করে নেয়। তখন আমরা ঘোরতর আপত্তি তুললেও কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা আমলে নেন নি। এমনকি পেনশন সুবিধা ও প্রফিডেন্ট ফান্ডের দাবি দীর্ঘদিন ধরে আমরা করে আসলেও কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করছেন না। বর্তমানে জিনিসপত্রের মূল্যসহ জনজীবনের খরচ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনাবস্থায় বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের বেতন ভাতা যেখানে আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন তখন আবারো শোনা যাচ্ছে আমাদের বেতন ভাতা কর্তনের শোরগোল। এ কারণে আমাদের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন”।
বর্তমানে সরকারি মূল বেতনের সঙ্গে ২০ শতাংশ যোগ করে বেতন প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসকসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। মূল বেতনের ৪০ থেকে ৫০ ভাগ বাড়ী ভাড়া, ১০ ভাগ চিকিৎসাভাতা, ৫ ভাগ যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া চাকরির বয়স পাঁচ বছর হলে মূল বেতনের ১০ ভাগ, চাকরির বয়স ১০ বছর হলে মূল বেতনের ২০ ভাগ ভাতা প্রদান করছে কর্তৃপক্ষ। প্রফেসর চিকিৎসকদের জন্য মূল বেতনের ১৫ ভাগ প্রফেশনাল এলাউন্স, সিনিয়র প্রফেসরদের মূল বেতনের ১৫ ভাগ স্পেশাল এলাউন্স, অতিরিক্ত কাজ করলে মূল বেতনের ২০ ভাগ চার্জ এলাউন্স এবং কর্মচারদের সর্বোচ্চ দুই সন্ত্বানের জন্য ৫০০ টাকা করে শিক্ষাভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের পর প্রায় ৭ বছর কেটে গেলেও সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করে নি। তবে সম্প্রতি নতুন পে-স্কেল ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমান খান কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “গভর্নিঙ বডিতে চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ চাকরিশেষে তাদের সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে এককালীন ৪৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন, বর্তমানে তা ৬ লাখ টাকার উপরে প্রদান করার নিয়ম নেই।” অবসরজনিত সুবিধা প্রদান করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২৬(৪) ধারা অনুযায়ী চাকুরির প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের জন্য ১ মাসের বেতন অথবা গ্র্যাচুইটি যেটা অধিক হবে তা প্রদান করার বিধান রয়েছে। গ্র্যাচুইটি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আইনের ২(১০) ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের অধিককাল চাকুরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত ৪৫ দিনের বেতনের সমমান অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমান বেতন স্কেলে অবসরজনিত সুবিধা ৬ লাখ টাকার অনেক বেশি আসতে পারে এরকম প্রশ্ন করলে মাহফুজুর রহমান খান বলেন- “গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানে অবসরকালীন সুবিধা ৬ লাখ টাকার বেশি দেয়া হয় না।” এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, “সরকারি নীতিমালার চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাচ্ছেন। প্রফেসরদের বেতন-ভাতা বেশি থাকার পরও প্রফেসর ভাতা ও প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহারের পরও যাতায়াত ভাতা ভোগ করছেন। এ বিষয়গুলো পুনর্মূল্যায়ন করে একটি বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেতৃবৃন্দকে বলা হচ্ছে । কিন্তু তারা েেকান প্রস্তাবনা দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ৩ সদস্যেও উচ্চ পর্যায়ের একটি সাবকমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় চিকিৎসক নেতৃবৃন্দদের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে । এর মধ্যে প্রস্তাব জমা না দিলে সাবকমিটি বেতনকাঠামোসহ সার্ভিস রুল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এনফোর্স করা হবে। হাসপাতালের সার্ভিস রুল ও অর্গানোগ্রাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যে নীতিমালা আছে তা অনুসরণ করতে হবে। এই নীতিমালার বাইরে যাওয়ার কোনোসুযোগ নেই।”
বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনার জন্য ২০১১ সালের নীতিমালার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২২ প্রণীত হয়। এই আইনে একাডেমিক বিষয়, পরিদর্শন ও শিক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম ও সার্ভিস রুল নিয়ে কোন গাইডলাইন নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব ((চিকিৎসা শিক্ষা) মো: আহসান কবীর বলেন, “বেসরকারী মেডিকেল কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সবেমাত্র আইন হয়েছে। তবে শীঘ্রই এর বিধিমালা প্রণয়ণের কাজ শুরু হবে। আইনে যে গ্যাপগুলো এখন রয়েছে, আশা করি তখন তা কাটিয়ে উঠা যাবে। তবে শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রমদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘বিধিমালা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োগের ব্যাখ্যা। আইনে উল্লেখ নাই এরকম বিষয়ে বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।” মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম মহাপরিদর্শক মো: বুলবুল আহমেদ বলেন- “বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম ও সার্ভিস রুলস বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর পরিদর্শন করবে। যদি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সার্ভিস রুলস বা হাউস পলিসি থাকে তবে তা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী ১ বছরের বেশি শিক্ষানবীশকাল রাখার সুযোগ নেই। চাকুরির বয়স ১ বছর পূর্ণ হলেই আইন অনুযায়ী উৎসব বোনাসসহ নৈমিত্তিকছুটি, অর্জিতছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি ও অতিরিক্ত কর্মঘন্টার জন্য দ্বিগুণ বেতন প্রদান করতে হবে। এছাড়াও শ্রমআইন ও বিধিমালার আলোকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার বিধান রয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী প্রদত্ত সুবিধা কর্তন করা যায় না। শ্রম বিধিমালার বিধি-১৩৩ অনুযায়ী প্রদত্ত সুবিধা ও অধিকার কর্তন করলে অতিরিক্ত ৫০% ক্ষতিপুরণ প্রদানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। হাসাপাতালের মেডিকেল এসোসিয়েশনের একাধিক চিকিৎসক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে একজন শিক্ষানবীশ মেডিকেল অফিসারের নিম্নতম বেতন ৪০ হাজার টাকার উপরে। অথচ আমাদের এখানে মাত্র ২০ হাজার টাকা। আমরা বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী নতুন পে-স্কেল হওয়ার আগ পর্যন্ত মহার্ঘ্যভাতা এবং শ্রম আইন অনুযায়ী আমাদের সার্ভিস রুলস প্রণয়ণের দাবি করছি। এছাড়া প্রদত্ত কোন সুযোগ-সুবিধা কর্তন করা হলে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকেই এর দায় নিতে হবে।