অন্যান্যঅর্থনীতিকৃষি ও শিল্পজাতীয়

ময়মনসিংহে পুতুল তৈরীর প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: সারিসারি সাজানো বাহারি রঙ্গের পুতুল, কোনটার অবয়বে ফুটেছে হাসি,কোনটার বিরক্ত,কোনটার রাগ। কোন কোন পুতুলের মাথায় ঝাঁকড়া চুল,কোনটার দুই বেণি মাথায় টুপি। ঠোঁটে লিপষ্টিক, কপালে টিপ। আদবাসীদের পোষাক পরিহিত দকমান্দার উপরে রয়েছে তাদের সংস্কৃতির অলংকার। বাহারী পুতুলগুলোর মুখে শিল্পীদের হাতের স্পর্শে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) নকশা কেন্দ্র, আয়োজিত পুতুল শিল্পে বহিরাঙ্গন প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান ২৯ জুন  ময়মনসিংহে কারিতাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।  এতে বিসিকের সহকারী প্রধান নকশাবিদ এ.কে. এম. ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কারিতাসের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অপূর্ব ম্রং, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ময়মনসিংহের উপ মহাব্যবস্থাপক বিজয় কুমার দত্ত, বিসিকের নকশাকেন্দ্রের নকশাবিদ চন্দ্রনাথ ধর, নকশাবিদ টিটু সাহা, রোজী রংমা,ইত্যাদি কারুপন্যের কর্ণধার রোকেয়া বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মিস চম্পা। প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রতিবন্ধী আত্ম উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেফালী আক্তার ও মিস লিপি। সহযোগিতায় ছিলো কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চল, ব্লুরিবন বাংলাদেশ, আদিবাসী উন্নয়ন সমিতি, ইত্যাদি কারুপণ্য, প্রতিবন্ধী আত্ম উন্নয়ন সংস্থা, ইকোনমিক মিউচুয়াল অর্গানাইজেশন।

এ সময় বক্তাগণ বলেন,  বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তির কারণে আমাদের প্রজন্ম পুতুল নিয়ে খেলা ভুলে যাচ্ছে।ফলে পুতুল শিল্প এখন বিলুপ্তের পথে। শিল্প -সংস্কৃতিকে পুতুল শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা যায়। সমতলের আদীবাসীদের জীবন জীবিকা পুতুলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয়াতে ময়মনসিংহের বিসিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। এসময় তারা আরো বলেন,বিশেষ উদ্যোগ নিলে এ শিল্পে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সফলতা লাভ করা যাবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে পুতুল তৈরির প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটার সাথে সংযুক্ত অন্যান্য প্রশিক্ষণ ও মার্কেটিং এর উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। ইত্যাদি কারুপণ্যের কর্ণধার রোকেয়া বেগম বিশেষভাবে এ শিল্পের প্রতি আগ্রহ দেখান এবং এটি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেন।

উল্লেখ্য,১২ দিনব্যাপী নানা উপকরণ দিয়ে পুতুল তৈরীর এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী।