শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তি শিক্ষা কার্যক্রম অন্তভূর্ক্তিকরণ প্রয়োজন : শান্তি মিত্রের সমন্বয় সভায় বক্তাগণ
বাবলী আকন্দ ঃ শান্তি শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিশুদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি প্রত্যেকের জীবনে নৈতিকতার মাধ্যমে চরিত্র গঠনে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার ফলে প্রত্যেক শিশু মানুষ হয়ে দেশের জন্য দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে অবদান রাখতে পারে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে এর চর্চা অব্যাহত রাখলে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগ্রহ বাড়বে পাশাপাশি দ্বন্দ্বগুলো কিভাবে নিরসন করা যায় সে বিষয়ে জ্ঞান লাভ করবে। এক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে ২৮ নভেম্বর কমিউনিটি ট্রাষ্ট ময়মনসিংহ ফোরাম হলরুমে শান্তি শিক্ষা প্রকল্পের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া । এসময় তিনি বলেন, শান্তি শিক্ষার গুরুত্ব বর্তমানে খুবই প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের মাঝে শান্তি শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন, এমসিসির পিস কো অর্ডিনেটর বিলন রোগা। এ সময় পিস এডুকেশন সম্পর্কে ধারণা প্রদানসহ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এইচআরডিও এর সুপারভাইজার এস এম রনি, সাংবাদিক বাবলী আকন্দসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ। সঞ্চালনায় ছিলেন শান্তি শিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা ইলমা জাহান।
উল্লেখ্য শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা একটি অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা যা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শান্তি মিত্র প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র – ছাত্রীদের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, বর্তমানে ময়মনসিংহ নগরীর তিনটি বিদ্যালয়ে ( বলাশপুর আবাসন প্রকল্প প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবীনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,আব্দুল আজিজ মুন্সি প্রাথমিক বিদ্যালয়) শান্তি শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০ জন ফ্যাসিলিটেটরকে শান্তি ক্লাস প্রস্তুতি কর্মশালা প্রদান এবং ৩০ জন যুবক যুবতীদের শান্তি কর্মী গড়ে তুলতে মাসিক কর্মশালা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিভাবকদের জন্য শান্তি স্থাপন ও দ্বন্দ্ব নিরসন বিষয়ক কর্মশালা প্রদান, শিক্ষকদের জন্য শান্তি কর্মশালা প্রদান, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন, শান্তি বাগান ও শান্তি পাঠাগার তৈরি সহ শান্তি ও ন্যায্যতা উৎসব করা হয়। ব্যক্তিজীবনকে সমৃদ্ধ ও সামাজিক সমন্বয় বিষয় শিক্ষা, বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি সহ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শান্তি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।