শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে পানি কমলেও ভোগান্তি চরমে
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর নালিতাবাড়ি বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গতকালের চেয়ে ১ দেড় ফুট পানি কমেগেলেও মানুষের বাড়িঘরের পানি কমছে না। বরং কোথাও কোথাও আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে ছয়লাভ ছিল জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী। ঢাকা টুু নাকুগাও স্থলবন্দর সড়কে প্রায় ২/৩ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যে কারনে দূরপাল্লার যানচলাচল বন্ধ ছিল। আজ কিছুটা পানি কমে যাওয়াতে দুর পাল্লার বাস পানির উপর দিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ীর কয়েক হাজার পুকুরের মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে। সাধারণ মানুষ জাল ফেলে পুকুরের ব্যাপক মাছ ধরেছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চল যোগানিয়া ও কলসপাড় ঘুরে দেখা যায়।এখনও শতশত পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। কিছু পাকা সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও। গ্রাম অঞ্চলের রাস্তা গুলো পানির নীচে। বাড়িঘরে পানি থাকায় কেউ কেউ রাস্তার উপর রান্না করতে দেখা যায়। গবাদিপশু রাস্তায় বেঁধে রাখছেন অনেকেই। কলসপাড় ইউনিয়নের নগরবেড়া বালুঘাটা, যোগানিয়ার কাপাশিয়া এলাকার কয়েক জন মৎস্য চাষিদের সাথে কথা হলে তারা জানান,প্রায় দেড় হাজার পুকুর ও মৎস্য হেচারি বন্যার পানিতে তলিয়ে ২ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন আশাছিল। স্মরন কালের বন্যায় সব শেষ। বয়স্ক ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন বিগত ৫০ বছরেও এমন বন্যা দেখেনি কেউ।