অন্যান্যজাতীয়রাজনীতি

ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ,  মিথ্যা মামলায় হয়রানি”—আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনে নিহত হুমায়ুনের বাবার বক্তব্য

আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ
গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে হয়রানি করছে—এ অভিযোগ এনে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে  গৌরীপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহনাটী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ.বি. সিদ্দিক।
তিনি বলেন, গত ১৩ জুন সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তিনজন এজাহারভুক্ত আসামি সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে বাদী, সাক্ষী ও তাদের স্বজনদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর একই প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আসামিপক্ষ আমার ও মামলার সাক্ষী মিজানুর রহমান খোকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করেছে, হত্যার পর আমার নেতৃত্বে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। অথচ হত্যাকাণ্ডের সময় আমি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলাম এবং খোকনের একটি হাত ভাঙা ছিল। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে নিহত হুমায়ুন কবীরের বাবা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “ছেলেকে হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে তা আমি জানি না। অথচ আমার বিরুদ্ধে এবং মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ৬ নম্বর আসামি মো. মাসুদ রানার হুকুমেই আমার ছেলেকে খুন করা হয়, অপর দুইজনও এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।