অন্যান্যজাতীয়রাজনীতি

জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সংগ্রাম সমিতির ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

আজ (১৮ সেপ্টেম্বর)  বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ভবদহ অঞ্চলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানসহ ৫দফা দাবিতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।  এ উপলক্ষে বেলা সোয়া ১২ টায় খুলনার বয়রায় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্মারকলিপিটি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ ফিরোজ সরকার-এর পক্ষে ফকরুল ইসলাম ও আব্দুল মালেকসহ কর্মকর্তারা গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক তাপস বিশ্বাস, বিএম শামীমুল হক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক ও খুলনা জেলা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নিবিড় কান্তি বিশ্বাস মিঠু, নড়াইল জেলা সভাপতি আহম্মদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, যশোর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব উদ্দিন মাস্টার, সহ-সভাপতি আবু বক্কার সরদার, আবুল কাশেম মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীরণ বিশ্বাস, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি এমএম আবুল হোসেন, যশোর জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস, নড়াইল জেলা সভাপতি আক্তার হোসেন প্রমুখ।

 একই সাথে ঐতিহাসিক বিল-ডাকাতিয়া দিবস উপলক্ষে  খুলনা হাদিস পার্কে এক কৃষক-গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিজুর রহমান।  সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক তাপস বিশ্বাস ও জাতীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মধুমঙ্গল বিশ্বাস প্রমুখ। পরিচালনা করেন যুগ্ম-সম্পাদক বিএম শামীমুল হক।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার আশু সমাধানে খুলনা-যশোর-সাতক্ষীরার সকল নদ-নদীতে নির্মিত স্লুইচ গেটগুলি দ্রুত খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। যে সকল স্থানে পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে তা প্রয়োজনে খাল-নালা পরিষ্কার ও খনন করে নদ-নদীর প্রবাহের বাধা অপসারণ করতে হবে। ঘের নীতিমালার আধুনিকায় ও যুগোপযোগী করে বাস্তবায়নে কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা করে খাল-নালা-বিলের সাথে নদ-নদীর সংযোগ পুনঃস্থাপন ও নদীসমূহের আন্তঃসংযোগ চালু করতে হবে। স্থায়ী সমাধানের লক্ষে অবাধ জোঁয়ার-ভাটার বিকল্প কোনো পথ নেই। এ প্রেক্ষিতে ভবদহ, শৈলমারী রেগুলেটরসহ নদীর ওপরে নির্মিত সকল অপরিকল্পিত অবকাঠামো উচ্ছেদ, ওয়াপদা বাঁধ উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধ বিলগুলিতে অবাধ জোঁয়ার-ভাটা সৃষ্টি করতে হবে। নদীর জমি নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। নদ-নদী পরিকল্পিত উপায়ে খনন করতে হবে এবং খননকৃত পলি বিলের নিম্নাংশে ফেলতে হবে বলে নেতৃবৃন্দ সমাবেশে দাবি করেন।