জাতীয়

তারাকান্দায় কাঁচা রাস্তায় চলাচলে ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

তারাকান্দা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় যাতায়াতের উপযোগী (কাঁচা) রাস্তা না থাকায় প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ। তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের উলামাকান্দি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত চিকনীকান্দা পাড়ার পশ্চিম মাথা মুন্সিবাড়ি মোড় প্রধান সড়ক হতে চিকনীকান্দার দক্ষিন পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি হালট রাজ গোপাট হয়ে ব্যাপারী বাড়ির পূর্ব পাড়া দিয়ে গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করলে ধলা যাত্রাবাড়ি ও পূর্বধলা উপজেলায় প্রবেশের পাকা রাস্তা রয়েছে। বর্ষাকালে টানা বর্ষনে ৩ কিলোমিটার কাঁদা গর্ত পেরিয়ে গ্রামের সীমানা অতিক্রম করতে হয়। অন্যথায় যাতায়াতের ভিন্ন রাস্তা অবলম্বন করলে অতিরিক্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ধলা যাত্রাবাড়ি ও পূর্বধলা উপজেলায় প্রবেশ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার মানুষের স্বপ্ন ও প্রয়োজন এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা বাস্তবায়ন।

সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন বৃদ্ধ,নারী,শিশু রোগী,স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে উপযোগী রাস্তা না থাকায় এম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না এসব এলাকায়। ফলে মুমূর্ষ রোগী ও গর্ভবতী নারীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। কয়েক যোগ ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা নির্মান ন করার কারনে সরকারি হালট দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটিও প্রায় বিলুপ্তির পথে। রাস্তাটির দুই পাশে বসবাসকারী জনসমষ্টী ও চাষীরা কেটে সরু পথের চিত্র ধারন করে ফেলেছে। এতে চলাচলকারী জনগন ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ,জনপ্রতিনিধি নির্বাচন এলে প্রতিনিধিরা গ্রামটিতে প্রবেশের সময় গর্ত কাদা পেরিয়ে জামা কাপড় নষ্ট করে,নির্বাচনী প্রচারনা করতে আসে এবং স্থায়ী যাতায়াতে রান্তা নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কোনো উদ্যোগ নেননি। বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের নিকট ঘুরেও মিলছে না কোনো সমাধান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পায়ে হেটে যাওয়ার রাস্তাাটিও এখন যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উলামাকান্দি গ্রামের মোঃ মোমেন কবির জুয়েল ক্ষোভ নিয়ে বলেন,যাতায়াতের রাস্তা ভালো না থাকায় অত্র এলাকার মানুষ চরম বিপদে ভোগছে। এ এলাকার কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি সঠিক সময়ে বাজারে নিতে পারেন না। ফলে কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আচরনগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে দক্ষ ও সূক্ষ্য মূল্যবোধের অভাবে দীর্ঘ ৪০ বছরেও মিলছেনা কোনো জনকল্যান। তাই মানুষের কল্যানে রাস্তাাটির নির্মান কাজ করা অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন।

এছাড়াও উলামাকান্দি গ্রামের লিটন সরকার,কাশেম সরকার,হুমায়ুন কবির,নজরুল ইসলাম,তোফাজ্জল হোসেন,ফারুক হোসেন, লাভিন,জোলহাস, রফিক,সুজন, রুহুল মেম্বার,তারা মিয়া,শাহজাহান,শহীদ,রুহুল আমিন,হযরত আলী,আবু রায়হান, হাজী আবুল কাশেম মাষ্টার,আহসান হাবীব,রাফি তালুকদার,নজরুল ইসলাম (রাজু) তালুকদার,লাল মিয়া,আব্দুর রহমান,আব্দুল হান্নান,রুমন,মোঃ আলম,আলি মুদ্দিন,নূরইসলাম ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং সাংবাদিকদের এ তথ্য তুলে ধরেন।