জাতীয়

নির্ধারিত তারিখে টিএনজেড ও রোর ফ্যাশনের শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ: অবিলম্বে মজুরি পরিশোধের আহবান

গত ৭ মে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং ১১ মে রোর ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও উক্ত তারিখে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করা হয় নি। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন এবং সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে  শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোধের আহবান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ২৬ মার্চ রোর ফ্যাশন এবং ৮ এপ্রিল টিএনজেড এর কারখানাসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চাকুরি অবসানের পর ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শ্রমিকদের চাকুরিজনিত সকল পাওনা পরিশোধ করতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উপরন্তু শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ত্রি-পক্ষীয় কমিটিগুলো থেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারিখ নির্ধারণের সময় বিজিএমইএ’ র প্রতিনিধিসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে, তা মালিকরা বাস্তবায়ন না করায় সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা কোন প্রকার জবাবদিহিতাও চাওয়া হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করছে। এসব কর্মসূচিতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি সৃষ্টিসহ  শ্রমিকদের উপর হামলা , মারধোর ও নির্যাতন চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্ধারিত তারিখে মজুরি পরিশোধ না হওয়ায় শ্রমিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের প্রেক্ষিতে  সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদ্যোগী ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি শ্রমিকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোন সদুত্তর পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় শ্রমিকদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মজুরি না পাওয়া এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘর ভাড়া ও দোকানের বাকি পরিশোধ করতে পারছে না। এমনকি তিন বেলা খাওয়ার অনিশ্চয়তাসহ অভাব-অনটন ও দারিদ্রতার মধ্যে শ্রমিকদের জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিল্পাঞ্চলে যেকোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার সমুদয় দায়দায়িত্ব মালিক ও সরকারকেই বহন করতে হবে বলে নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি