বিদেশে কর্মী প্রেরণে শেরপুর জেলা পিছিয়ে ॥ বিদেশে কর্মী প্রেরনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মানব সম্পদ রপ্তানী ও বিদেশে কর্মী প্রেরনের ক্ষেত্রে সারাদেশের মধ্যে শেরপুর জেলা সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। জেলা সদরে সরকার অনুমোদিত এলায়েন্স গ্রুপের এলায়েন্স ওভারসিজ চালু হওয়ায় বিদেশে কর্মী প্রেরণে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জেলার ৫টি উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার দক্ষ এ অদক্ষ কর্মী বিদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে। শুধুমাত্র জনসচেতনতা ও সঠিক তথ্য জানা না থাকায় সুযোগ থাকা সত্বেও এ জেলার মানুষ বিদেশ কর্ম করতে যেতে পারছেননা। তবে জেলা সদর ও নকলা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, বাকী তিন উপজেলাতেও কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তারা। শেরপুর জেলায় সরকার অনুমোদিত কোন রিক্রটিং এজেন্ট ছিলোনা। যে কারণে এ জেলার লোকজন দালালদের খপ্পরে পরে নানাভাবে প্রতারিত হতো। জেলার অনেক মানুষ ইতিপূর্বে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছে। তাই অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্বেও বিদেশ যেতে আগ্রহী নয়। তবে সরকারের কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের তত্বাবধানে সরকার অনুমোদিত এলায়েন্স গ্রুপের এলায়েন্স ওভারসিজ শেরপুরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। দালাল নয় তারা সরাসরি বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের বিশ্বস্থতার মাধ্যমে বিদেশ পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এ লক্ষে শেরপুরের নবীনগরের পাসপোর্ট অফিসের পার্শ্বেই তাদের অফিস উদ্বাধন করা হয়েছে। গত ৯ আগষ্ট বিকেলে জামালপুর ও শেরপুর জেলার দায়িত্বে থাকা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস জামালপুরের সহকারী পরিচালক ইকরামুন্নাহার ও শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নজরুল ইসলাম এ অফিসের উদ্বোধন করেন। আর এটাই হচ্ছে শেরপুর জেলার সর্বপ্রথম কোন সরকার অনুমোদিত রিক্রটিং এজেন্ট, যারা জেলা সদর থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানো শুরু করলেন।
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠােনর এমডি জুলফিক্কার আলী কামরুল, তারা বাবা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসাইন, পরিচালক সফিকুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস জামালপুরের সহকারী পরিচালক ইকরামুন্নাহার বলেন, শেরপুর থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে কম প্রবাসী বিদেশ যাচ্ছেন। আমরা চাই শেরপুর জেলার মানুষ নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ যাক তাদের কর্মসংস্থান হউক। আমরা টিটিসি ও যুবউন্নয়ন অফিসের সহযোগিতায় সরকার অনুমোদিত এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠাতে পারি। এখানে কোন সমস্যা করা হলে আমরা এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ধরতে পারবো। কিন্তু দালালদের মাধ্যমে কেউ প্রতারিত হলে আমরা তো তাদেরকে ধরতে পারিনা।
এদিকে এলায়েন্স গ্রুপের এমডি ও জামালপুর জেলার বাসিন্দা জুলফিক্কার আলী কামরুল বলেন, আমরা সরাসরি বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাবো। এখানে প্রতারিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা খুব কম টাকায় বিদেশে কর্মী পাঠাবো।