জাতীয়শিক্ষা ও সংস্কৃতি

মহিউদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই স্লোগানে আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে জেলা সদরের যশোদল ইউপির ইছাসুর গ্রামে মহিউদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন  জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার কিশোরগঞ্জ এর সহকারী পরিচালক মো.আজিজুল হক সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি লেখক ও তথ্য সংগ্রাহক মো.আমিনুল হক সাদী। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিউদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার প্রীতি।

সমাজকর্মী মো মস্তুফার সভাপতিত্বে ও মহিউদ্দিন ফাতেমা কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম মনিরের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ সাইফুল ইসলাম,শিক্ষক সাবিকুন্নাহার মনি, হাজী মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, সুরুজ আলী, মজলু মিয়া,আবু হানিফ,শিক্ষার্থী আবুল কালাম, রবীন, হামীম, বায়জিদ, সাকিব, আল আমিন, রনি, সাকিব, সাইফুল্লাহ, নাহিদুজ্জামান রাহুল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘বই মানুষের পরম বন্ধু। বইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব আজ আলোকিত। সবাইকে বইয়ের মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করে কাজ করতে হবে। জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। জ্ঞানের বাহন বই। বইয়ের আকর পাঠাগার। বই বিমুখতা আমাদেরকে বর্বর করে তুলছে। জ্ঞান বিজ্ঞান সাহিত্য সংস্কৃতির উৎকর্ষতার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই বই পড়তে হবে।  সিলেবাস বা পাঠ্য পুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। জ্ঞানের অসীম সমুদ্রে বিচরণ করতে হবে। আধুনিক স্মার্ট চৌকস যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হতে হলে বই কে জীবন সঙ্গী করতে হবে ‘।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে মহিউদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের নতুন ঘরের শুভ উদ্বোধন করেন।  পরে প্রয়াত মহিউদ্দিনসহ সকল মৃত এলাকাবাসীর মাগফিরাত কামনা ও সবার সুস্থতা চেয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও রায়হান।  এসময় মহিউদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের দায়িত্বশীলগণ, পাঠক পাঠিকাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।