জাতীয়

নান্দাইলে বর্ষা এলেই ভোগান্তির শেষ নেই আট গ্রামবাসীর; জনদূর্ভোগ চরমে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:  ময়মনসিংহের নান্দাইলে বর্ষা এলেই উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের আটটি গ্রামের জনগণের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। মাত্র দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ কাচাঁ রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে হাজারো বাসিন্দাদেরকে এই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে দ্রুত ওই রাস্তাটি হেরিং বন্ড অথবা পাকাকরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজগাতী ইউনিয়নের দরিল্লা-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা বিরাজমান। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যার ফলে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। দরিল্লা, চংভাদেরা, বনাটি, দাসপাড়াসহ স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে রাস্তাটির যুগসুত্র রয়েছে। এছাড়াও, স্থানীয় সুকাইজুড়ি নদীর ওপর প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় সড়কটির গুরুত্ব আরও বহুগুণ বেড়ে গেলেও তা কোন কাজে আসছে না। কারণ উক্ত গ্রামীণ রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। স্থানীয় বাসিন্দার জানায়, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটিতে হাটু পরিমাণ কাদার সৃষ্টি হয়। রাস্তার অনেক অংশে ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত, কৃষিপণ্য পরিবহন, এমনকি জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল খায়ের হিমেল জানান, “সেতুটি নির্মাণের পর সড়কের গুরুত্ব বেড়েছে, কিন্তু বেহাল দশার কারণে এর সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে না।”গ্রামের বাসিন্দা মো. আশিদ মিয়া বলেন, ” রাস্তার দুর্দশা দূর করার জন্য কেউ নেই। সড়কের বেহাল দশার কারণে সামাজিকভাবেও তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ‘বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা ও সড়কে থাকা বড় বড় গর্ত ভরাট করে দিলে আপাতত লোকজন চলাচল করতে পারবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আবদুল মালেক বিশ্বাস বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’