স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে নান্দাইলে জমজমাট পশুর হাট
শামছ ই তাবরীজ রায়হানঃঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কঠোর লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চকমতি নতুন বাজারে পশুর হাট বসানো হয়েছে। আজ রবিবার উপজেলার সবচেয়ে বড় এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা সামাজিক দুরত্বের তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকি নিয়ে গরু-ছাগল কেনাবেচা করেছে। এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন।
সরজমিনে চকমতি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর হাটে গিজগিজ করছে গরু আর মানুষ। একজন আরেকজনের ঘা ঘেষে দাঁড়িয়েছে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ গরু কিনে নির্ধারিত যানবাহনে উঠাচ্ছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই। কারো কারো মাস্ক থাকলেও হয় পকেটে, না হয় থুথনিতে। সামাজিক দুরত্বের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে গরু কেনাবেচা চলছে। ছাগলের হাটে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। চকমতি নতুন বাজারের পাশের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সনজু বলেন, চলতি বছর চকমতি নতুন বাজারের ইজারা মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বাজারটিতে উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতারা জড়ো হয়। বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা রহিম উদ্দিন বলেন, টাকার খুব প্রয়োজন থাকায় গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। এসে দেখেন কারো মুখে মাস্ক নেই। তাই তিনিও বাড়ি থেকে আনা মাস্ক পকেটে রেখেছেন। চকমতি নতুন বাজারে আসা ৫/৭ জন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানি ঈদের কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকলেও কঠোর লকডাউনে এই বাজারে পশুর হাট জমেছে। বাজারে এসে তাঁরা দেখতে পেয়েছেন সবাই আগের মতই চলছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতাও নেই। অবশ্য হাটে টুল আদায় করা ব্যাক্তিরা দাবি করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসানো হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে পশু কেনাবেচার জন্য মাইকে ঘোষণার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল মনসুর বলেন, পশুর হাট বসা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসানো যাবে।