জামাইয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালালো শ্বশুড়বাড়ির লোকজন

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ফোন করে ছেলে মাকে জানায় তাকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মেরে ফেলছে। দুপুরেই খবর আসে ছেলে মারা গেছে। হাসপাতালে লাশ রেখেই পালিয়ে যায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের পাঁচকাহুনিয়া গ্রামে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৮ বছর আগে উপজেলার পলাশতলী নিচপাড়া গ্রামের আঃ মান্নান একই উপজেলার পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের বারেকের মেয়ে আসমা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এক মেয়ে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দুই মাস আগে আসমা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চলে যায়।

সোমবার (২১ জুলাই) রাতে নিজের সন্তানদের দেখার জন্য শ্বশুড়বাড়িতে যান আঃ মান্নান। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরের তার মাকে ফোন করে জানায় শ^শুড়বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মৃত অবস্থায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন আঃ মান্নানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করলে লাশ হাসপতালে ফেলে রেখেই শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন। নিহতের চাচাতো ভাই সেলিম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আঃ মান্নান তার মাকে ফোন করে জানান তাকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মেরে ফেলছে। বিকালে খবর আসে মান্নান মারা গেছে। আমাদের ধারনা আঃ মান্নানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমার চাচাতো ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রুকনুজ্জামান জানান, মৃত্যুর ঘটনা রহস্য দেখা দেয়ায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।