সাপ্তাহিক হালচাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নীতিগত সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৬ এপ্রিল ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক ভিডিওবার্তায় দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিকভাবে যখন চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ, মুদ্রা যুদ্ধ চলছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে যখন চীনের বিনিয়োগ বেশি প্রতীয়মান হচ্ছে তখন জন কেরীর সফরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এ আহবান তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

জন কেরির সফরে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী ঢাকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি গত ৯ এপ্রিল কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন বলে জানা যায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠেয় জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক একটি কেন্দ্রে অর্থায়নের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় ২৬তম জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা- এসব কারণে জন কেরির ঢাকা সফরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহযোগিতা, সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও ২০১৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের কিছু অবনতি পুনরুদ্ধার করতে জন কেরীর এই সফরের তাৎপর্য রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত ।

রণতরি– যুদ্ধবিমানে চীনের মহড়া, তাইওয়ানের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র
চীনের সাবমেরিন–বিধ্বংসী সামরিক বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমায় গত ৭ এপ্রিল চীনের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। তাইওয়ান বলছে, কয়েক দিন ধরেই বেইজিং তাদের উপকূলে শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে এই উসকানিমূলক কর্মকা- চালিয়েছে চীন। কোনো ধরনের হামলা হলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে তাইওয়ানের পাশে থাকার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের কথা মাথায় রেখে ভারত-ফিলিপাইন সফর করছেন সুগা!
চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে এমন দুটি দেশ সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগা। এপ্রিলের শেষে জাপানের জাতীয় ছুটির সময় ভারত সফর এবং সম্ভবত ফিলিপাইন সফরে যেতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম আসাহি শিম্বুন গত ৯ এপ্রিল এ তথ্য জানিয়েছে। বেশ কয়েকটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আসাহি শিম্বুন বলছে, ওই দুই সফরে সুগা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হবে। এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ফোনে কথা বলা সময় ‘কোয়াড নেশনস’-এর (জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত) সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন সুগা ও মোদি।

চীনের ‘চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান
মার্কিন-জাপানি জোটের প্রতি তার শক্ত সমর্থনের কথা নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ১৬ এপ্রিল বলেছেন, মুক্ত ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চীনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য উভয় দেশ একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সাথে বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা ও আমি মার্কিন-জাপানি জোট এবং আমাদের যৌথ নিরাপত্তার প্রতি আমাদের কঠোর সমর্থনের কথা নিশ্চিত করেছি। আমরা চীন এবং পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগরের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার মতো বিষয়গুলিতে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের, ১০ কূটনীতিক বহিষ্কার
মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও সাইবার হামলার ঘটনায় দায়ী করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপালেন জো বাইডেন। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে থাকা ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সেনা জড়ো করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর এক দিন পরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আসল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ও প্রাইভেট সেক্টরে সাইবার হামলার জন্য দায়ী করা হয় রাশিয়াকে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে পরিকল্পনা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৬ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে তিনি রাশিয়ার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পুতিন। এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *