গ্রাম আদালত জনসচেতনতায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভায় ডিসি

আমিনুল হক সাদী: কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আয়োজনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার, সম্মেলন কক্ষ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  ফৌজিয়া খান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন  নাহিদ হাসান খান, উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), স্থানীয় সরকার, কিশোরগঞ্জ।

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে অনেকগুলো কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি কাজ হলো-১. জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ২. নাগরিকত্ব সনদ ৩. গ্রাম আদালত পরিচালনা। যেহেতু নির্বাচিত পতিনিধিগণ গ্রাম আদালত পরিচালনা করেন তাই তাদের কে প্রশিক্ষন প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা। যে সকল চেয়ারম্যানগণ নিয়মিত পরিষদে বসছেন না তাদের তালিকা প্রস্তুত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। স্বল্প সময়ে অল্প খরচে বিচারিক সেবা প্রাপ্তির সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো গ্রাম আদালত, তাই গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইপসা, কিশোরগঞ্জ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রকল্পের আওতায় প্রচার-প্রচারণা (আউটরীচ) কার্যক্রমের পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা সমূহের ভূমিকা এবং জুন ২০২৫ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ত্রৈমাসিক মামলার তথ্য, গত সভার সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা সমূহ, এবং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ সমূহ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিন মাসে ৪২৪ টি মামলা দায়ের হয়, ৩৮১ টি মামলা নিষ্পত্তি হয় এবং রায় বাস্তবায়ন হয় ৩৭২ টি যা পূর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ১০৪ টি।

আগামী ৩ মাসের জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা এবং গ্রাম আদালত প্রকল্প কর্মীদের কাজ করার পরিবেশ তৈরি করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলশ সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম তালুকদার, আনসার ভিডিপি সার্কেল এডজুট্যান্ট মো: মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক রাহুল ঘোষ পলাশ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৃফি সাজ্জাদ আল ফোজায়েল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা তথ্য অফিসার সাইফুল ইসলাম, উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর কামরুজ্জামান খান,ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপপরিচালক মুহাম্মদ মহসিন খান,তথ্য ও প্রযুক্তি, সহকারী পরিচালক মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, জেলা শিক্ষা অফিসের প্রতিনিধি, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা, শিক্ষক, আশা, পপি, ব্র্যাক ও অন্যান্য সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীগণ।