সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেজিষ্ট্রেশনের নামে রোগীকে হয়রাণি করা হচ্ছে
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় সংগঠনের সুরমা মার্কেটস্থ কার্যালয়ে জেলা সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল, রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সরকার, দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, সদস্য আব্দুস সালাম, নাছির মিয়া, মহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এ যেন একটা সমস্যার পাহাড়। রোগীকে সেবা দেওয়ার তুলনায় হয়রাণি করা হচ্ছে দ্বিগুন হারে। মাঝে মধ্যে দুদকের লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়মিত তদারকির অভাবে প্রতিনিয়ত হয়রাণি বেড়েই চলেছে। ১৯৩৬ সালে ইনস্টিটিউট হিসেবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে এই ইনস্টিটিউটকে মেডিকেল স্কুল এবং ১৯৬২ সালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করা হয়। পরে ১৯৭৮ সালে কাজলশাহ এলাকায় ২৫ একর জায়গায় মেডিকেল কলেজটি সম্প্রসারিত করা হয়। পুরোনো জনবল ঠিক রেখে ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালকে ১৯৯৮ সালে ৯০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়।
১৭ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও হাসপাতালে অনুমোদিত পদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি। এসব শূন্যপদের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ও প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ৯০০ শয্যার বিপরীতে আন্তবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ রোগী ভর্তি থাকছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৫০০ শয্যা থাকাকালে হাসপাতালে কর্মরতদের পদের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২১। শয্যাসংখ্যা বাড়লেও এ অবস্থার উন্নতি আজ পর্যন্ত হয়নি।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় রোগীকে বর্হি বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পূর্বে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়। সেবার মান উন্নয়নের কথা বলা হলেও জরুরী রোগীদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসাকে প্রাধাণ্য না দিয়ে বরঞ্চ রোগীর রেজিষ্ট্রেশন আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দূর দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী সঠিক তথ্য না জানায় এবং পূর্ব রেজিষ্ট্রেশন না থাকায় চিকিৎসা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এমনিতেই বিদ্যুতের লোডশেডিং এ অতিষ্ট নগরবাসী। প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে এখন আবার ‘মরার উপর খাড়ার গাঁ’ হয়ে দাড়িঁয়েছে বিদুত্যের আবার মিটার পরিবর্তন। ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার সাধারণ মানুষের জন্য জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। সরকারি অফিসে পোস্ট-পেইড মিটার চালু থাকলেও সাধারণ জনগণের ওপর জোর করে প্রিপেইড মিটার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পূর্বের প্রিপেইড মিটারে ইউনিট প্রদান করা হলেও বর্তমানে প্রদানকৃত মিটার রিচার্জে ইউনিটের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যার দরুন পূর্বেও তুলনায় দুই থেকে তিনগুন বিল কাটা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ উক্ত সমস্যাবলী সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি