রাজধানী পল্লবি এলাকায় দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে উপর্যুপরি গুলি
মোঃ রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, ঢাকা:- রাজধানী ঢাকায় দোকানের ভেতরে ঢুকে এক যুবদল নেতাকে উপর্যুপরি গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা একজনকে ধরে ফেললেও তাৎক্ষণিক হত্যার কারণ জানা যায়নি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের পাঁচ নম্বর রোডে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল যোগে তিন জন দুর্বৃত্ত ওই দোকানের ভেতরে ঢুকে কিবরিয়ার মাথা, বুক ও পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে সাত রাউন্ড গুলি করে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন একজনকে ধরে ফেলে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ও তার অনুসারীরা অতর্কিতভাবে ওই দোকানে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সাত রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, ওই হত্যার একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে,অতর্কিত তিন যুবক ওই দোকানে ঢুকে একেবারে কাছ থেকে কিবরিয়াকে লাগাতার গুলি করেন। প্রথমে তার পিঠে গুলি করা হয়। কিবরিয়া মেঝেতে পড়ে গেলে তার বুকে ও মুখে একেবারে কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোহরাওয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কিবরিয়া খুনের ঘটনায় পল্লবী, মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা চলছে। খুনিদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত আটক করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও ডিবি মাঠে নেমেছে।
এদিকে ওই যুবদল নেতাকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশার এক চালককেও গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসার পর রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নিয়ে আসা হয়েছে।
ওই অটোরিকাশা চালকের নাম মো. আরিফ (১৮)। তিনি পল্লবীর ক ব্লক এলাকায় থাকেন।
হাসপাতালে তিনি জানান, দুই যুবক হেলমেট পড়া অবস্থায় দৌড়ে তার রিকশায় ওঠে। এসময় তার কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে চালাতে বলে। দেরি হওয়ায় তারা গুলি করে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, আরিফ বর্তমানে ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

