অটো চুরির সালিশের পর বন্ধুর বাড়ি থেকে যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে অটো চুরির অভিযোগ নিয়ে সালিশি বৈঠকের পর রিয়াদ (২৫) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারই এক বন্ধু নাদিমের বাড়ি থেকে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের গারুয়া গ্রামের ভাটুয়াপাড়ায় বন্ধু নাদিমের বসতঘর থেকে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত রিয়াদ পৌরসভার পোড়াবাড়িয়া মহল্লার আব্দুল লতিফের পুত্র। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বন্ধু নাদিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, কিছুদিন আগে আচারগাঁওয়ের ঘারুয়া গ্রামের হানিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তির একটি ইজিবাইক (অটোরিকশা) চুরি হয়। এই চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদকে আটক করে। পরে আচারগাঁও বিলপাড়ার সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে একটি সালিশি বৈঠক আয়োজন করা হয়। সালিশে আটক রিয়াদ অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করে এবং জানায় যে, এই চুরিতে তার বন্ধু নাদিমও জড়িত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সালিশের মাতাব্বররা নাদিমকেও তার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে নাদিমের মা ময়না বেগম সালিশে উপস্থিত হয়ে দুজনকেই ছাড়িয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই রাতে রিয়াদ নাদিমের ঘরেই থেকে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ঘরে রিয়াদের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, রিয়াদ ও নাদিম একে অপরের বন্ধু ছিল।নিহত রিয়াদের পিতা আব্দুল লতিফ জানান, তার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো, তবে কিছুটা নেশাগ্রস্ত ছিল। তিনি বলেন, “আমার ছেলের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র আবুল হোসেনের মনোমালিন্য ছিল। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।”
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মুজাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

