নান্দাইলে টাকা জমা দিয়েও কৃষকের সেচলাইন সংযোগ না পাওয়ার অভিযোগ

নান্দাইল প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও এলাকা পরিচালক শওকত হাসানের বিরুদ্ধে সেচ লাইন সংযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাই নান্দাইল সেচ কমিটির ছাড়পত্র সহ নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে সেচের লাইন সংযোগের জন্য আবেদন করেন। আবেদন অনুমোদিত হলে সেচের লাইন সংযোগ বাবদ ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। আব্দুল হাই বিধি মোতাবেক টাকা জমা দেওয়ার পর তার সেচ লাইন নির্মাণ না করে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনে প্রতিবেশী মৃত তাহের উদ্দিনের পুত্র খোকন মিয়ার লাইন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও এলাকা পরিচালকের নিজস্ব লোক দিয়ে রাতের আধারে নির্মাণ করে দেন। অবৈধভাবে খোকন মিয়ার লাইন নির্মাণের বিষয়টি নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বরাবর জানালে তিনি খোকনের সেচের লাইন বিচ্ছিন্ন করান।
নান্দাইল সেচ কমিটিকে খোকনের সেচের লাইন বাতিলের চিঠি দিয়েছে। কিন্তু জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও এলাকা পরিচালক শওকত হাসান এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের কৃষক আব্দুল হাই কিভাবে লাইন সংযোগ দেন সে ব্যাপারে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন।

ভোক্তাভোগী কৃষক আব্দুল হাই বলেন, আমি এত কষ্ট করে সেচের লাইন অনুমোদন করিয়েছি। লাইন সংযোগে আবুল খায়ের ও শওকত হাসান অবৈধভাবে আরেক জনের লাইন সংযোগ দিয়েছে। আমি ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা দিয়েছি অফিসে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসাবে আমি এলাকায় তদন্ত করতে যাই । আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
এলাকা পরিচালক শওকত হাসান বলেন ব্যাপারে আমি কোন কিছু জানিনা। নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী বিপ্লব সরকার বলেন, পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। উনারা যদি মনে করেন তদন্ত করবে। তবে আমার জানা মতে এমন কিছু ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *