সিরাজগঞ্জে ভন্ড কবিরাজের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী

সাব্বির মির্জা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভন্ড কবিরাজ মো. সোহরাব আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট আহসান হাবীব (হুমায়ন), ওমর ফারুক ও আনোয়ারসহ এলাকাবাসী। ওই কবিরাজ উপজেলার হাট পাঙ্গাসী গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (৩১ মে) সরেজমিনে গেলে জানাযায়, ভন্ড কবিরাজ ওই ভুক্তভোগীদের ১৯ শতক পৈতৃক সম্পতির কিছু অংশ জবর দখল করে ১৪ টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে মাটি ভরাট করে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো মারধরের শিকার হচ্ছে তারা। তার এহেন অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর নালিশি অভিযোগ দাখিল করলে শালিশি বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা পূর্বক জায়গা ছাড়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেটা তোয়াক্কা করছেন না ওই কবিরাজ সোহরাব আলী।

ভুক্তভোগী আহসান হাবীব (হুমায়ন) অভিযোগে উল্লেখ করেন, সোহরাব আলী দ্রীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে শত্রুতা করে আসছে। আমার পৈতৃক সম্পত্তি ও দখল করে আছে। শুধু তাই নয় মসজিদের টাকা ও আত্নসাৎ করে।

ভন্ড কবিরাজের প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম চাঁন মিয়া বলেন, কবিরাজ সোহরাব আলী ইউনিয়ন পরিষদের রায় ও প্রশাসনকে তোয়াক্কা করছে না। আমরা এ অত্যাচারী কবিরাজের কবল হতে রেহাই পেতে চাই।

কবিরাজের ছোট ভাই গাফফার শেখ আক্ষেপ করে বলেন, আমি নিজেই আমার আপন বড় ভাই সোহরাব আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট। আমরা চার ভাই। বাবার ২০ শতক বাড়ির আমি নিজে ৫ শতকের অংশিদার। সেই জায়গাও আমায় দিচ্ছেনা। আমি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

তবে অভিযুক্ত কবিরাজ সোহরাব আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অসুস্থ্য অবস্থায় ঢাকায় আছেন বলে ফোনটি কেটে দেয়। পরে তাঁর ছেলে ওসমান গনির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাবা অসুস্থ্য অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। এক পর্যায়ে ওই দখলকৃত জায়গার কোন ডকুমেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ও গুলো আমাদের কাছে কিছু নেই।

এ নিয়ে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল সালাম মুঠোফোনে বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন তদন্ত করে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শালিশি বৈঠক পূর্বক জায়গা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে লিখিত রায় প্রচার করা হয়। কিন্তু অধ্যাবধি সেই জায়গা দখল করে আছে।
অথচ তাঁর কোন কাগজপত্র নাই।

এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই বিষয়ে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি, তবে গাফফার নামক এক ব্যক্তি সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেটা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) সুবীর কুমার দাসের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *