ঝিনাইগাতীর হলদীবাট-হলদীগ্রাম সড়ক সংস্কারের অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ
শেরপুর প্রতিনিধি:শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদিবাটা থেকে হলদীগ্রাম এলজিইডি’র সড়কটি সংস্কার ও সম্প্রসারনের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারি যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, হলদীবাটা, ভারুয়া, বাঐবাধা, ফাকরাবাদ হয়ে হলদীগ্রাম সীমান্ত সড়ক পর্যন্ত এলজিইডি’র প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। দীর্ঘ প্রায় একযুগ পূর্বে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু এরপর রাস্তাটি আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে রাস্তাটি কোন কোন স্থানে ডেবে গেছে, কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ পথে প্রতিদিন সিএনজি, ইজিবাইক, ট্রাকও বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি শতশত মানুষ চলাচল করে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, মান্ধাতার আমলে নির্মিত সরু এ পথে একটি ট্রাক প্রবেশ করলে পাশ কাটিয়ে একটি রিকশাও যাতায়াতের সুযোগ থাকে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এ পথে যানচলাচল করে আসছে। স্থানীয়রা জানান, সরু এ পথে যান চলাচলের সময় মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় একটি গাড়ি পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামানসহ গ্রামবাসীরা জানান, এ রাস্তাটি সম্প্রসারনের দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের। তারা জানান বিভিন্ন সময় রাস্তাটি সম্প্রসারনের জন্য আশ্বাস ও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ও শতশত পথচারী যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারনের অভাবে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য পরিবনে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন। এ ছাড়া রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় শতশত পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারনের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন,রাস্তাটি পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারনে রাস্তাটি সরু। তিনি বলেন রাস্তাটি যে প্রকল্পের আওতায় করা হয়েছে সে প্রকল্পের আওতায় সম্প্রসারন করা সম্ভব না। তবে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় অনুমোদন হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।