শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপ প্রয়োজন
লকডাউন শিথিল করায় সরকারি বেসরকারি প্রায় সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান সচল হয়েছে। সরকারি বেসরকারী অফিসের প্রেক্ষিতে পুরোদমে চালুর প্রজ্ঞাপন এখনো না আসলেও মূলত প্রায় সকল ধরণের কার্যক্রম চলছে। বন্ধ রয়েছে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক— শিক্ষার্থীগণ হাঁপিয়ে উঠছেন। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার তীব্র ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল— কলেজের টিনেজ শিক্ষার্থীগণ মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারিগণ চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এক্ষেত্রে সরকারী, আধা—সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত বা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মরত শিক্ষক— কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পেলেও বেসরকারী এবং নন— এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কর্মিরা নিয়মিত বেতন— ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তাঁরা প্রচন্ড আর্থিক কষ্টসহ সামাজিক, পারিবারিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ৬৪ জেলার ৮ হাজার ৪৯২টি নন এমপিভুক্ত স্কুল— কলেজের ৮০ হাজার ৭৪৭জন শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা হারে এবং ২৫ হাজার ৩৮ জন নন— এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে অনুদান প্রদান করেন। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে এসব শিক্ষক— কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে আংশিকভাবে এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একেবারেই বেতন না পাওয়ায় অনেকেই হতদরিদ্র তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। অনেককেই রাস্তায় ফুটপাতে হকারি করতেও দেখা গেছে। সেই তুলনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত অনুদান অপ্রতুল। তাই সামগ্রিক দিক বিচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেয়ার বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সরকারের শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।