আজকের বাংলাদেশ ৩৭ বর্ষে পদার্পণ

ময়মনসিংহ হতে প্রকাশিত দৈনিক আজকের বাংলাদেশ ৩৭তম বর্ষে পদার্পণ করলো। একটি মফস্বল শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ৩৭বছর ধরে প্রকাশনা অব্যাহত রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। পত্রিকার সম্পাদক শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা নন তৎকালীন সরকারগুলোর বিরোধী চেতনার লোক হওয়ার কারণে অকারণে পত্রিকাটি গলা টিপে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বহুবার। বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষের ভালবাসা ও সমর্থনে টিকে যায় পত্রিকার প্রকাশনা। এর মূল কারণ পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের ত্যাগ এবং সুষ্ঠ সাংবাদিকতা।
তৎকালীন এরশাদ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময় দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার ডিক্লারেশনের জন্য আবেদন করা হয়। ডিক্লারেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী বিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্নভাবে চাপের মুখে পড়তে হয়। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের তোষামদকারী কোন পত্রিকা মানুষ কোন দিনই পছন্দ করে না। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারা পত্রিকা চাচ্ছিল ময়মনসিংহের মানুষ। দৈনিক আজকের বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালের ১ লা আগস্ট মানুষের সে প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ময়মনসিংহের সে সময়কার সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি এবং রাজনৈতিক মানুষ পত্রিকার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সর্ম্পকে অবহিত হয়ে মুগ্ধ হন এবং পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীল সংবাদ দেখে পত্রিকাটি তারা আপন করে নেন। যার ফলে পত্রিকাটি অল্প দিনেই বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষের নিজস্ব পত্রিকায় পরিণত হয়।
পত্রিকাটিতে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিশুদের পাতা, প্রবন্ধ সহ গণমানুষের দুর্দশা সাংবাদিকগন নিয়মিত তুলে ধরেছেন। ত্যাগী সমস্ত সাংবাদিকদের অব্যাহত সমর্থন ও গুনগতমান সম্পন্ন লেখা অনুসরণ করে পত্রিকাটি আজও চলছে। দৈনিক আজকের বাংলাদেশ ১৯৮৫ সনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পক্ষে ভূমিকা রাখার ওয়াদা নিয়ে পথ চলা শুরু করেছে এবং আজও তা অব্যাহত রেখেছে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। পত্রিকাটি তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হওয়ায় দীর্ঘদিন বিজ্ঞাপন বন্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে। প্রিয় পাঠক শ্রেণী এবং সুষ্ঠু সাংবাদিকতার বিকাশে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য এখন মাথা উঁচু করে চলছে পত্রিকার প্রকাশনা। শুধু সুষ্ঠ সাংবাদিকতা বিকাশে কর্মরত সাংবাদিকদের চালিয়ে রাখতে সরকারী সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের নিকট সাংবাদিকরা কৃতজ্ঞ যে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে চেষ্টা করছেন। আজকের বাংলাদশের এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক পত্রিকার সকল পাঠক, গ্রাহক, বিজ্ঞাপনদাতা, গুনগ্রাহী ও শুভ্যানুধায়ীদের অকুন্ঠ সমর্থন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *