কিয়েভে রাতের আঁধারে ড্রোন হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ভোরে রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের বিস্তৃত এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জেরে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বিদেশে বসবাসকারী পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে নিতে চায় ইউক্রেন। প্রায় দুই বছর ধরে চলা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ শহরে রাশিয়ান ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন আবাসিক এলাকাগুলোতে এই হামলার কথা জানিয়েছেন। চলতি মাসে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির রাজধানীতে এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল।

সর্বশেষ এই হামলায় কারো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও আহত হয়েছেন দুই জন। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, রাতের আঁধারে ড্রোন শহরের কেন্দ্রের দক্ষিণে অবস্থিত সোলোমিয়ানস্কি এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে আঘাত করেছে। এতে ভবনের ওপরের তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। যদিও সেই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল। ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা টেলিগ্রামে লিখেছে, হামলার শিকার বিল্ডিংয়ের ২৪, ২৫ এবং ২৬ তলায় বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ এই হামলার ঘটনাটি স্থানীয় একটি প্রসূতি হাসপাতাল থেকে কয়েক শ মিটার দূরে ঘটেছে। পরে শহরের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই বিমান হামলার সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে রাতের আঁধারে বিশাল কমলা শিখা আকাশের দিকে উঠতে দেখা যাচ্ছে। ক্লিটসকো আরো বলেছেন, ড্রোনের টুকরোগুলোর আঘাতে ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে দারনিটস্কি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। তিনি বলেন, সেখানে কেউ আহত হয়নি। অনলাইনে পোস্ট করা ছবিগুলোতে সাইটটির চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নির্মাণসামগ্রী দেখা যাচ্ছে। এদিকে বিদেশে বসবাসকারী পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে নিতে চায় ইউক্রেন। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের কারণে সামনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে বসবাসকারী ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি ইউক্রেনের পুরুষ নাগরিকদের সামরিক চাকরির জন্য রিপোর্ট করতে বলা হবে বলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘আমন্ত্রণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তবে কেউ এটা না মানলে তাকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য একজন মুখপাত্র পরে স্পষ্ট করে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি করার জন্য কাউকে ডেকে পাঠানো বা তলব করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, তার দেশের সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ নতুন সৈন্য প্রয়োজন। কিন্তু এটি অর্জন করা ‘খুব কঠিন’।
এফএনএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *