চুরি- ছিনতাই- মাদক বন্ধে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে

করোনা ভাইরাসের কারণে লাগাতার লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র না পেয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম ও অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। স্বাভাবিক জীবন ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে কেউ কেউ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হচ্ছে। এসব নেশাসক্ত ব্যক্তিরা অপ্রকৃতস্থ থাকায় কখনো কখনো হিংস্র হয়ে উঠছে। সাধারণ মানবিকতাবোধও তাদের মধ্যে থাকছে না। গত পরশু পরিকল্পনা মন্ত্রীর মোবাইল ফোন তাঁর গাড়ি থেকে ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়ছে। দিনে- দুপুরে একজন মন্ত্রির ফোন তাঁর হাত থেকে ছিনতাই হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের জন্য জীবন যাপন আরো কত অনিরাপদ হয়ে উঠছে তা সহজেই অনুমেয়। মন্ত্রির ফোন হয়তো সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ উদ্ধার করতে পারবে। এরকম অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হয়তো চুরি, ছিনতাই হয়ে যাওয়া জিনিস উদ্ধার করা সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কি পুলিশ প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে পারছে?

চুরি, ছিনতাই, মাদক বা এ ধরণের অপরাধ দমন করতে পুলিশ প্রশাসন মাঝে মাঝে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করে থাকে। এসব অপরাধের মূল কারণ নির্মুল করতে না পারলে পুলিশ প্রশাসন দিয়েই কি অপরাধ দমন সম্ভব? পুলিশ দমন মূলক ব্যবস্থায় গেলে অপরাধীরা হয়তো কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকবে। কিন্তু অপরাধ নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা দিন দিন বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। চুরি, ছিনতাই, মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রাধিকার দিতে হবে তাদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। একই সাথে নিশ্চিত করতে হবে তাদের জীবন ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ। এই ক্ষেত্রে চুরি, ছিনতাই, মাদককে সামাজিক ব্যাধী হিসেবে গণনা করে রাষ্ট্রকে তার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *