নান্দাইলে ইউএনও প্রত্যাহারের নির্দেশনার পরেও তরিঘড়ি করে গ্রামপুলিশ নিয়োগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে গত ১৮ই জুলাই/২৩ইং প্রত্যাহারপূর্বক মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে ন্যস্ত করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জেলা প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন জারী হয়। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর অন্যত্র কর্মে যোগদানের পূর্বে নান্দাইল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১০জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ কার্যক্রম তড়িঘরি করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

সে লক্ষ্যে বুধবার (২৬ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নান্দাইল এর কার্যালয়ে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নেন। তবে উক্ত নিয়োগ কার্যক্রমটি তড়িঘরির মাধ্যমে বাস্তবায়নের বিষয়ে অভিজ্ঞ মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১৫ই মে/২৩ইং নান্দাইল উপজেলায় ১০ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় এবং ৬ই জুন নিয়োগের আবেদনের তারিখ সমাপ্ত হয়। উক্ত নিয়োগে উপজেলার নান্দাইল, চন্ডিপাশা, গাংগাইল, রাজগাতি, আচারগাঁও ও চরবেতাগৈর ইউনিয়নের মোট ২৫জন প্রার্থী আবেদন করে। কিন্তু ১৮ই জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ থেকে প্রত্যাহারপুর্বক মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে তাকে ন্যস্ত করা হলেও তিনি তড়িঘরি করে এই নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রার্থী জানান, উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ জটিলতাসহ অনৈতিক লেনদেন হয়েছে। ইউএনও’র বিদায় রজনীতে ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দদের সাথে যোগসাজসে এমন নিয়োগ কার্যক্রমকে অবৈধ ও অসুদাপায়
অবলম্বন মনে করছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। এ বিষয়ে উক্ত নিয়োগ কমিটির সদস্য ও আচারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমি ভাইভা পরীক্ষায় ওইখানে ছিলাম। তবে কতটুকু স্বচ্ছ হয়েছে তা আমি জানিনা। চরবেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিনের সাথে সেলফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই মোবাইলে এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনুসর বলেন, গ্রাম পুলিশ নিয়োগ কার্যক্রম মোটামুটি শেষ পর্যায়ে।

তবে তড়িঘরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিগত ১৫ তারিখে নিয়োগ হয়েছে, এখানে তড়িঘরি কোথায় পেলেন ? আমার দায়িত্বকালীন নিয়োগ, আমার সময়েই শেষ করছি। এছাড়া প্রার্থীদেও কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইউএনও বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলতেই পারে, তা গুজব। তা সত্যি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *