ময়মনসিংহের জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি বাস্তবায়নে নাগরিক অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের একমাত্র বিভাগীয় সদর ময়মনসিংহ হতে রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন নেই। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের
বগি ও কয়েকটি সিটের ওপর ভরসা করেই চলছে হচ্ছে বিভাগীয় সদরের ট্রেন যাত্রীদের। ফলে অধিকাংশ প্রত্যাশী ট্রেনযাত্রী ট্রেনে ভ্রমন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এলাকার জনদাবীর প্রেক্ষিতে সকাল ও সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ ও ঢাকা
থেকে দুই জোড়া আন্ত:নগর ট্রেন অবিলম্বে চালুর দাবিসহ অন্যান্য দাবিতে রবিবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জনগুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো পূরণের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের
নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

রবিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির অন্য দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ডাবল ও ডুয়েলগেজ রেল লাইন স্থাপন,যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ময়মনসিংহের মধ্য শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনটি সমতল থেকে সরিয়ে উড়াল রেলপথ অথবা শহর থেকে স্থানান্তর করতে হবে,
ময়মনসিংহ থেকে সিলেট ও কক্সবাজার পর্যন্ত আন্ত:নগর ট্রেন চালু করা,শেরপুর পর্যস্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, তিন হাজার শয্যা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতালসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,ময়মনসিংহে ইঞ্জিনিয়ারি, টেক্সটাইল ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,পরিকল্পিতভাবে ও টেকসই উপায়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করতে হবে, বিভাগীয় সদর দপ্তরের কাজ দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে, বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের আবাসিক
সংযোগ অবিলম্বে চালু করতে হবে, প্রস্তাবিত শিশু হাসপাতালটির দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা ও মধ্য শহরের অবস্থিত ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডটি সরাতে হবে।

ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামানের সভাতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিবির আহমেদ লিটনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উক্ত জনদাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বক্তব্য পেশ করেন, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, কাজী রানা, ফেরদৌস আরা মাাহমুদা হেলেন, অধ্যক্ষ মোঃ শামসুল
বারী, মোঃ মিজানুর রহমান খান, অধ্যক্ষ শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপিকা লীলা রায়,শাহ সাইফুল আলম পান্নু, শহিদুর রহমান শহিদ, মাহবুব বিন সাইফ, প্রদীপ ভৌমিক, কাউন্সির আনোয়ারা খাতুন, ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক আহমেদ, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, খন্দকার শরীফ আহমেদ,খন্দকার সুলতান উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহরমান ভাসানী, রফিকুল ইসলাম, রোকেয়া
আফরারি শিখা, আবুল কালাম ভূইয়া, কমল বসাক, জহিরুল ইসলাম জামাল, স্বাধীন চৌধুরী, আলী হাসান, অ্যাডভোকেট সাব্বির তালুকদার, আবুল মনসুর, উম্মে
তাবাস্সুম শুকতারা প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *