হালুয়াঘাটে উপজাতি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার-২
মোঃ বাবুল হোসেন,হালুয়াঘাট প্রতিনিধি :ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজাতি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট ধোবাউড়া সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর সরকার।
পুলিশ সুপার জানান, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে স্থানীয় একটি পার্কে ওই কিশোরী বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে মিলন মিয়া। পরে পরিকল্পনা মাফিক কিছুদুর গেলে মিলন ও তার সহযোগী অটো থেকে নেমে পড়ে। পরে অটো চালক বাসার বাড়ি পৌছে দেবার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে নির্জন স্থানে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। সোমবার রাতে স্বজনরা পুলিশের সহয়তা নেন।
এছাড়া ওই কিশোরীকে প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মিলন মিয়া (২১) সহ অজ্ঞাত একজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযানে নেমে রাতেই জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকা থেকে মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া অপরাধে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক জব্দ করে।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের কুতিকুড়া এলাকা থেকে হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক এসাই শুভ্রসাহা অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবুল বাশারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তাঁর সহযোগী মিলন মিয়া (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন, নবাগত সার্কেল অফিসার মিজানুর রহমান ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ