ফুলপুরে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

ফুলপুর থেকে বিল্লাল হোসাইনঃ আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঐদিন প্রবাসে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয় এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় ১৭ ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করেন। তখন থেকে মুজিবনগর বাংলাদেশ সরকারের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে। অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তানে আটক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এই দিবস পালন উপলক্ষ্যে ফুলপুর উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম, সাজ্জাদুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকিয়া পারভিন লাকী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার,বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার,কৃষি অফিসার ফারুক আহমদ,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার,বিজয় চন্দ্র বিশ্বাস,অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত রায়।

সরকারের অন্যান্য দপ্তর ছিল নিম্নরূপ :প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান। কর্নেল মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করা হয়। ১৭ ই এপ্রিল পদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
এই ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। মুজিবনগরে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদান এবং সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর আহবানে নতুন সরকারের তত্ত্বাবধানে বাঙালি উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান শুরু করে। নয় মাস যুদ্ধ করে পরাধীন বাংলাকে মুক্ত করে স্বাধীন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *