স্বামীকে থানায় খাবার দিতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন স্ত্রী
হালুয়াঘাট প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট আদালতে দায়ের করা একটি সিআর মামলায় বাদি বিবাদীর দস্তাধস্তি থামাতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন থানার এক উপ-পরিদর্শক এসআই। এ ঘটনায় বিবাদীকে গ্রেফতার করে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গেলে স্ত্রীকেও গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের কলনীপাড়া এলাকার শরীফা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ২৫ শে আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যায় বাদী শরীফা খাতুনকে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বিবাদীর বাড়িতে যান। এ সময় দু’পক্ষই পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পড়ে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এসআই শহিদুল ইসলামের চোখের কোনে অসাবধানতাবশত সামান্য আঘাত লাগে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুনকে অবগত করেন। পড়ে উপ- পরিদর্শক (এসআই) শুভ্র সাহা ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিআর মামলার বিবাদী আব্দুর রশিদ (৫৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আব্দুর রশিদকে আটকের পর শারীরিক নির্যাতন করে এসআই শুভ্র সাহা। কিন্তু শুভ্র সাহাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার আব্দুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম থানায় তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গেলে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিকেলে স্বামী স্ত্রী দু’জনকেই আদালতে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দেলায়ার হোসেন বলেন, শরীফা একজন অসাধু মাদক ব্যবসায়ী। এই নারীকে নিয়ে এলাকাবাসী বিপাকে। গত সোমবার এক মামলায় পুলিশ তদন্তে আসলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাদী শরিফা আবদুর রশিদ কে চড়- থাপ্পর ও লাথি মারে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদ শরীফার দিকে তেড়ে গেলে এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আঘাত লাগে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মাফমুক্তি চেয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরে আবার তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে উপ- পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামকে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কোন সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে হালুয়াঘাট থানায় গেলে ওসি হাফিজুর ইসলাম হারুনকে পাওয়া যায়নি। পরে তার সরকারি নাম্বারে ফোন দিলে তিনি বলেন, ২জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে না পৌছানো পর্যন্ত মামলার বিষয়ে কোন তথ্য দেওয়া যাবে না।

