ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক রক্ষায় আগামিকাল এনডিএফ’র বিক্ষোভ সমাবেশ

১৮৫৭ সালের ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত বাহাদুর শাহ পার্ক ইজারা দেয়ার প্রতিবাদে আগামিকাল ৭ অক্টোবর বিকাল ৪টায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কমিটি। মহানগর কমিটির সভাপতি হাবীবুল্লাহ বাচ্চুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন এনডিএফ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ব্রি. জেনা. (অব.) এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ধ্র“বতারা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি শ্যামল ভৌমিক, সাবেক এডিশনাল এটর্নী জেনারেল এডভোকেট মনসুর হাবীব, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. ওবায়দুল্লাহ সাগর, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির যুগ্ম আহবায়ক জিনাত রেহেনা, বাহাদুর শাহ পার্ক সংরক্ষণ পরিষদের সংগঠক আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খান এক বিবৃতিতে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নগরের সকল পর্যায়ের নাগরিকদের উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধের বিদ্রোহী সিপাহীদের ধরে এনে উক্ত জায়গায় নির্যাতন করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গাছের উপর ঝুলিয়ে রেখেছিল বর্বর সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরা। সেসব বীরদের নৃশংসভাবে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বীরদের স্মরণে পরবর্তীতে তৈরি করা হয় স্মৃতি স্তম্ভ যার নামকরণ করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক। সেই ইতিহাসকে সংরণ না করে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে গৌরবোজ্জ্বল এই ইতিহাস না ছড়িয়ে ঐতিহাসিক সাহসী বীরদের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। পার্কের অভ্যন্তরে ফুড ভ্যানসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পাঁয়তারা চালাচ্ছে দণি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপ। এর বিরুদ্ধে নগর এনডিএফ ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের গৌরবজনক ইতিহাস সংরণের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরা হয়-১। বাহাদুর শাহ পার্কের অভ্যন্তরে কোন ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ চলবে না, ২। সংস্কারের নামে স্মৃতিস্তম্ভে কোন ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না, ৩। স্মৃতিস্তম্ভের গাঁয়ে “১৮৫৭ সালের শহীদদের স্মরণে” লেখাটি দৃশ্যায়িত করে পূর্ণলিখন করতে হবে, ৪। নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানানোর স্বার্থে বাহাদুর শাহ পার্কের সংপ্তি ইতিহাস সিটি করপোরেশন কর্তৃক জনসম্মুখে দৃশ্যমান জায়গায় টানাতে হবে, ৫। নগর জীবনের সাথে সম্পর্কিত দখলকৃত সকল পার্ক, পুকুর, খাল, বিল ও নদী দখলমুক্ত করে নগরবাসীর জন্য ব্যবহার উপযোগী করা এবং কোনরকম ফি ছাড়াই উন্মুক্ত রাখতে হবে।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *