আন্ত:সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে বিশ্ব মিডিয়া: প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ

সুদীপ্ত শাহিন: বিংশ শতাব্দীর গোড়াপত্তনে বিশ্ব পুঁজিবাদ একচেটিয়া রুপে প্রবেশ করে বিভিন্ন মার্জ , মেগা মার্জ, ট্রাস্ট, সিন্ডিকেট তৈরি করে। শিল্প পুঁজি ও ব্যাংক পুঁজির সম্মিলন ঘটে লগ্নি পুঁজির সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সাম্রাজ্যবাদী যুগ। সাম্রাজ্যবাদীদের বৃহৎ এই লগ্নি পুঁজি বিনিয়োগের জন্য তখন প্রয়োজন পড়ে বাজার নিশ্চিত করা। বাজারের দখল নিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো তথা একচেটিয়া পুঁজির মালিকেরা গোটা বিশ্বটাকেই নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। যেহেতু পুঁজির বিকাশ অসম এবং বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়- এরকম নীতিতেই চলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা , সেহেতু কামড়া কামড়ি বা আন্ত: সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব হচ্ছে এই যুগের এক মৌলিক দিক।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই মিডিয়াতে সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া লগ্নি পুঁজির বিনিয়োগ হয়। একদিকে যেমন বৃহৎ পুঁজি বিনিয়োগ করার একটি উচ্চ মুনাফাভিত্তিক খাত, অন্যদিকে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার পক্ষের সকল কর্মসূচি প্রচার করে বিশ্ব জনমতকে প্রভাবিত করার একটি অন্যতম মাধ্যম মিডিয়া হাউস। ফলে বিশ্বের একচেটিয়া পুঁজিপতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করে দ্রুত গড়ে উঠে বিশ্বের শক্তিশালী মিডিয়া হাউসগুলো।
সাম্রাজ্যবাদী যুগে প্রবেশের সময় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোই বিশ্বব্যাপী উপনিবেশ দখল করে থাকে। তাই পৃথিবীর প্রথম জাতীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। ১৯২২ সালের ১৮ অক্টোবর ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি লিমিটেড নামে ইহা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ভাবে মার্কোনী, রেডিও কমিউনিকেশন কোম্পানি, মেট্রোপলিটন-ভিকার্স (মেট্রোভিক), জেনারেল ইলেকট্রিক, ওয়েষ্টার্ণ ইলেকট্রিক ও ব্রিটিশ থমসন-হউষ্টন (বিটিএইচ)- এই ৬টি ব্রিটিশ কোম্পানি মিলিত হয়ে এই লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সূর্য্য অস্তমিত হতে থাকে । এর স্থলাভিষিক্ত হতে থাকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী। অন্যদিকে পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার বিপরীতে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে গড়ে উঠে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঢেউ ক্রমে ক্রমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে থাকে। পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে একচেটিয়া পুঁজির আধিপত্যের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায় শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব এবং উপনিবেশিক দেশগুলোতে জাজ্বল্যমান হয়ে উঠে সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদবিরোধী লড়াই। এ পরিস্থিতি রুখতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালিয়ে বিশ্ব জনমতকে বিভ্রান্ত করতে মিডিয়া অপারেশনে নামে। তারা প্রচার করতে থাকে যে বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা সোভিয়েট ইউনিয়নে নেই৷ যদিও এর জবাবে স্তালিন বলেছিলেন, “সোভিয়েট ইউনিয়নে যে রকম বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের ও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে, শ্রমিক, চাষি ও বুদ্ধিজীবীদের যে রকম সংগঠন আছে, তা অন্য কোনও দেশে নেই৷ শ্রমিক ও চাষিদের জন্য যত সংখ্যায় ক্লাব সোভিয়েট ইউনিয়নে আছে, বিশেষ করে শুধু তাদেরই জন্য যত বেশি সংখ্যায় সংবাদপত্র আছে তা অন্য কোথাও নেই৷” অথচ সোভিয়েত বিরোধী প্রচারে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা কাজে লাগায় ইয়েলো প্রেস বা চটকদার প্রচারমাধ্যমের জনক র‌্যানডল্ফ হার্স্টকে। নিউ ইয়র্ক মর্নি জার্নাল, সানফ্রান্সিসকো ডেইলী এক্সামিনার এর মত বৃহৎ পত্রিকাসহ ১৯৪০ এর দশকে তিনি ২৫ টি সংবাদ পত্র, ২৪ টি সাপ্তাহিক সাময়িক, ১২ টি রেডিও স্টেশন ও ২টি বিশ্ব সংবাদ দাতা সংস্থার মালিক হোন। তখনকার সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ডলারেরও বেশি। উগ্র-জাতীয়বাদ, অতিরক্ষণশীল ও তীব্র কমিউনিজম বিরোধী মানুষ ছিলেন কুখ্যাত হার্স্ট।
হার্স্ট কর্পোরেশন ছাড়াও সোভিয়েত বিরোধী প্রচার ও বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউস ভয়স অফ অ্যামেরিকা গড়ে তুলে যুক্রাষ্ট্র। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী আন্তর্জাতিক রেডিও এবং টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং সার্ভিস। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, ডয়চে ভেলে, রেডিও নেদার্ল্যান্ডস, রেডিও ফ্রান্স ইন্টার্ন্যাশনাল, ভয়েস অফ রাশিয়া ও রেডিও কানাডা (যা কানাডা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন) ইন্টারন্যাশনালের মতই এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচাইতে বড় মাল্টি মিডিয়া সংবাদ মাধ্যম। ৪৫টিরও বেশী ভাষায় খবর সম্প্রচার করার এ মিডিয়া হাউসটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪২ সালে।
১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনে গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন হয় । এ সময় ইয়ান আন সিনহুয়া বেতার, পিকিং সিনহুয়া বেতার নামে রাজধানী পিকিংয়ে (বর্তমানে বেইজিং) স্থানান্তরিত হয় । ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর পিকিং সিনহুয়া বেতার দেশ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সারা বিশ্বের কাছে চীন গণপ্রজাতন্ত্রের জন্ম ঘোষিত হয়েছে। ১৯৫০ সালের ১০ এপ্রিল পিকিং সিনহুয়া বেতার ‘পিকিং রেডিও’ নাম ব্যবহার করতে শুরু করে। ৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে চীনের বৈদেশিক বেতারের প্রচারিত ভাষা ৪৩ টি হয়। ৮ এপ্রিল ১৯৭৮ সাল থেকে রেডিও পিকিং, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) নামে অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। বর্তমানে সিআরআই প্রত্যহ ৭৮০ ঘন্টার ও বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করে। চীনা শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্নের পর শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে চীন কমিউনিস্ট পার্টির নামে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত করে। বর্তমানে পুঁজিবাদী চীন একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। তার এই অগ্রসরতার প্রেক্ষিতে পশ্চিমা মিডিয়ার বিপরীতে রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে সিআরআই কে।
অন্যদিকে সাবেক পরাশক্তি রুশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিও পশ্চিমা প্রচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক আমলের প্রচার মাধ্যমের স্থলাভিষিক্ত হয় রুশ সাম্রাজ্যবাদী প্রচার মাধ্যম । রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রুশ টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেলটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অল-রাশিয়া রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার কোম্পানির (ভিজিটিআরকে) অন্তর্ভুক্ত। চ্যানেলটি পূর্বে আরটিআর নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৯ সালে রাশিয়ার টিভি চ্যানেলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় সংগঠন তৈরি করার কাজ শুরু করে আরএসএফএসআর। ইতোমধ্যে রাশিয়া বাদে বাকি সব ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্রগুলো নিজের প্রজাতান্ত্রিক টিভি চ্যানেল ছিল। কেন্দ্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের মতামত প্রতিফলিত হত বলে ১৯৯০ সালে আরএসএফএসআর এর গণ উপ সুপ্রিম সোভিয়েত বেল্লা কুরকোভা রাশিয়ার তৎকালিন সুপ্রিম সোভিয়েতের চেয়ারম্যান বরিস ইয়েলিৎসিনকে আরএসএফএসআর এর জন্য একটি আলাদা টেলিভিশন স্টেশন অনুরোধ করেন। এই সময় দেশটির ইউনিয়ন ও প্রজাতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশ টানাপোড়েন ছিল বলে এই অনুরোধ জানানো হয়। ১৯৯০ সালের ১৩ জুলাই রাশিয়ার সুপ্রিম সোভিয়েত রাশিয়ার এসএফএসআর বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচারের উপর যে জাতীয় একচেটিয়া প্রভাব ছিল তার অবসান ঘটায়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব টিভি চ্যানেল এবং বেতার কেন্দ্র খোলার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজি বিনিয়োগের মৃগয়া ক্ষেত্র। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে বাজার প্রভাব-বলয় নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে রুশ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের জন্ম হয়। ফলে ইত্তেফাকসহ প্রথম সারির সংবাদপত্র গুলো তখন মূলত মার্কিন পুঁজির স্বার্থে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষেই প্রচার প্রোপাগান্ডা করেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আমলের শুরুতে রুশ সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে ভিন্ন প্রচার মাধ্যম প্রয়োজন হয়ে উঠে। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধন এনে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর ইত্তেফাকসহ মোট চারটি দৈনিক পত্রিকা তখন প্রকাশ হচ্ছিল। এসব পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় আগে প্রতিদিনই শেখ মুজিবুর রহমান বা তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের সংবাদ দেখা যেত। কিন্তু আন্ত:সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে কথিত মার্কিন পরিকল্পনায় ১৫ অগাস্টের পর সে চিত্র বদলে যায়। এমনকি শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার খবরটিও কোনো পত্রিকায় প্রধান শিরোনামে আসেনি। বরঞ্চ কোনো কোনো খবরে নতুন সরকারের গুণগান করতেও দেখা যায়। চাপা পড়ে সেনা অভ্যুত্থান ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের খবর।
শেখ মুজিব সরকার সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে রুশ-ভারতের পরিকল্পনায় প্রায় ৮৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর আবার মার্কিন আধিপত্য প্রতিস্ঠিত হলে ব্যক্তিমালিকানা উৎসাহিত হয়। বিভিন্ন শিল্প কারখানা বেসরকারী করণের প্রেক্ষিতে মিডিয়ার ক্ষেত্রেও ব্যক্তি মালিকানার পুঁজি বিনিয়োগ ঘটতে থাকে। ৮০-র দশকে সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা বিশ্বব্যাংক “কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচির’ আওতায় পরবর্তীতে দেশে বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যাক্তিমালিকানাধীণ সংবাদ পত্র ও টিভি চ্যানেল গড়ে উঠে। দেশীয় মুৎসুদ্দি পুঁজির মালিকগণ তাদের স্ব স্ব ব্যাবসায়িক স্বার্থে ও প্রতিযোগিতায় রাতারাতি এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। মুৎসুদ্দি বা দালাল পুঁজির মালিকরা যেহেতু একচেটিয়া পুঁজির মালিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের উপর নির্ভরশীল সেহেতু লগ্নিপুঁজির বিনিয়োগের অবস্থান থেকে একেকটি মিডিয়া একেক লগ্নিকারী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। ফলে বিদেশী লগ্নি পুঁজি বা দেশীয় দালাল পুঁজির বাইরে দেশের জনগণের সংকট, সমস্যা বা জাতীয় স্বার্থে এসব মিডিয়া হাউস বিশেষ কোন ভূমিকা রাখে না। আন্ত:সাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে তারাও বহুধাভাগে বিভক্ত। ব্রিটিশ আমলে যেসব ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব থেকে উপমহাদেশে সংবাদ পত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে প্রচলিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলি সেই সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যস্ত।
দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি বা জাতীয় বেতার মূলত: ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মসূচি একচ্ছত্রভাবে প্রচার করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভিন্ন মতকে কোনভাবেই এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ধারণ করে না। বরঞ্চ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও যেনো সরকারের সমালোচনা করতে না পারে তার জন্য আইসিটি বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন কালো আইন প্রতিষ্ঠা করে গণ মাধ্যমের গলা চেপে ধরে রাখা হয়েছে। ফলে দেশের প্রচলিত গণমাধ্যম সমূহে সংকুচিত ধারায় সংবাদ চর্চা চলছে। যেসব সংবাদ কর্মিরা নিজস্ব দায়বোধ থেকে বা জনগণের প্রতি জবাবদিহিতার অবস্থান থেকে সৃজনশীল সাংবাদিকতা চর্চা করতে চান, তারা বিভিন্নভাবে ছিটকে পড়ছে। একদিকে মিডিয়া হাউসগুলোর বিজ্ঞাপন মার্কেট ধরা , অন্যদিকে সরকারের চোখ রাঙানিতে শ্বাস রুদ্ধকর অবস্থায় রয়েছে দেশের সংবাদ চর্চা ।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *