কমিউনিস্ট বিপ্লবী কমরেড আবদুল হক এর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার:   কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ কমরেড আবদুল হকের ২৬-তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর যশোর সদর থানার খড়কিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচ দশকের অধিককাল জুড়ে তিনি বিপ্লবী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সেই ছাত্রাবস্থায় ১৯৪৩ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (ঈচও) সদস্যপদ লাভ করেন কমরেড আবদুল হক। এই পথে পথ চলা শুরু করেছিলেন আরো আগেই। ছাত্রাবস্থায় হলওয়েল মনুমেন্ট বিরোধী আন্দোলনের ভিতর দিয়ে তার ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি সেই ১৯৩৯ সালে। ছাত্রজীবনে তিনি ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের বঙ্গদেশীয় প্রদেশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে এসে তিনি ভারতের প্রবাদপ্রতীম কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মোজাফ্ফর আহমেদের সহচর্য লাভ করেন। সেই যে তাঁর শুরু, আর কখনও তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই থেকে কমরেড আবদুল হক আজীবন বিপ্লবী ও আপসহীন কমিউনিস্ট নেতা।

১৯৪৩ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেসের পূর্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির যশোর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে তিনি যশোর জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর ওপর দায়িত্ব পড়ে কৃষক সংগঠন গড়ে তোলার। সেই দায়িত্ব হাতে নিয়ে কমরেড আবদুল হক অন্যান্যদের নিয়ে তেভাগা আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নের্তৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৩ সালে বাংলাতে এক মহা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। এই দুর্ভিক্ষে বাংলাতে কয়েক লক্ষ লোক না খেয়ে মৃত্যুবরণ করে। কমরেড আবদুল হক এই দুভিক্ষ পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে দুর্ভিক্ষে ত্রাণ বিতরণ, দুর্গত মানুষের সেবা ও দুর্ভিক্ষে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাজে অংশগ্রহণ করেন।

এই সময়ে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় তার দালাল দেশীয় সামন্ত-মুৎসুদ্দি শ্রেণি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় সাম্প্রদায়িকতার প্রেক্ষিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি নয়া ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় এবং তার শাসনভার সাম্রাজ্যবাদের প্রশিক্ষিত দালাল দেশীয় সামন্ত-মুৎসুদ্দি শ্রেণির হাতে অর্পণ করে। এই অবস্থায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। আলাদা ভৌগলিক সীমানা হওয়ায় পাকিস্তান ভিত্তিক কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

১৯৪৮ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেস কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতা কংগ্রেসে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা ভৌগলিক সীমান্ত হওয়ায় এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ভিত্তিক আলাদা কেন্দ্রীয় কমিটি ও আলাদা পার্টি গড়ে তোলা হয়। কংগ্রেস থেকে ফিরে কমরেড আবদুল হক ঢাকাতে পার্টি অফিসে অবস্থানকালীন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে যান। এই সময়ে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকার।

শুরু হয় কমরেড আবদুল হকের কারগারের জীবন। কারাগারে তখন ভিন্ন পরিবেশ। কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকারের স্বৈরাচারী তৎপরতা বন্ধ হয় না। পার্টির ওপর নেমে আসে সীমাহীন নির্যাতন। পাকিস্তান সরকার কমিউনিস্টদের ভারতের দালাল বলে চিহ্নিত করে। পাকিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুসলিম লীগ সরকার। সেই মোতাবেক পাকিস্তানের লাহোর কারাগারে নিরস্ত্র কমিউনিস্ট কারাবন্দীদের কারাভ্যান্তরে পিটিয়ে হত্যা করে। পাকিস্তান ভিত্তিক কমিউনিস্ট পার্টির নব নিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাত জহির পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

এইভাবে পাকিস্তান ভিত্তিক কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার স্বপ্ন গোড়াতেই প্রচন্ড ধাক্কা খায়। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কমিউনিস্টদের ওপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন। কমিউনিস্ট বন্দীদের দিয়ে কারাগার ভরে ফেলা হয়। আর কারাগারগুলোতে চলতে থাকে চরম অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতন। কমিউনিস্ট বন্দীরা কারাগারে কয়েদীদের অনশন ধর্মঘটের সমর্থন দিয়ে অনশন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই অনশন ধর্মঘট চলাকালীন কুষ্টিয়ার শিবেন রায় ৬৩ দিনের অনশন ধর্মঘটের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

এই সময়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে খাপড়া ওয়ার্ডের ঘটনা ঘটে। খাপড়া ওয়ার্ডে আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কমরেড আবদুল হক। খাপড়া ওয়ার্ডে কমরেড আবদুল হককে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। কিন্তু কমরেড আনোয়ার হোসেন কমরেড আবদুল হককে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেই সেই গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময়ে ৭ জন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নিহত হন ও কমরেড আবদুল হক ২১ জন বিপ্লবী কারারক্ষীদের গুলিতে আহত হন। এই সময়ে কয়েদীদের দিয়ে জেলখানার ঘানি টানানো হতো, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হতো ও তাদের ওপর নানাভাবে শারীরিক নিপীড়ন করা হতো।

তাছাড়া ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে কারাগারে কয়েদীদের যে অধিকার অর্জন করেছিল সে অধিকারও স্থগিত করা হয়। এর প্রতিবাদে কয়েদীরা অনশন ধর্মঘটে যায়। রাজবন্দীরা সেই অনশন ধর্মঘটকে সমর্থনে অনশন ধর্মঘটে যোগ দেয়। এই সময়ে কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য কয়েদীদের ব্যাপারটি রাজবন্দীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কমরেড আবদুল হকসহ কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের বক্তব্য ছিল, কয়েদীদের ব্যাপার বলে বিষয়টিকে উপেক্ষা করা যায় না। কমিউনিস্টরা নৈতিক মূল্যবোধ থেকে কয়েদীদের সমস্যাটিকে উপেক্ষা করতে পারেন না।

এর পর আসে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে সেই মহাবিতর্ক। সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৫৩ সালে কমরেড স্তালিনের মৃত্যুর পর ১৯৫৬ সালের কংগ্রেসের ভিতর দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সংশোধনবাদী ক্রুশ্চেভ চক্র। ক্রশ্চেভ চক্র রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সোভিয়েত ইউনিয়নে শ্রমিক শ্রেণির একনায়ত্ব বাতিল করে দিয়ে বুর্জোয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সামনে আসে তিন শান্তির লাইন- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা দখল।

কমরেড আবদুল হক সোভিয়েত ইউনিয়নে সর্বহারার একনায়ত্ব বাতিলসহ এই তিন শান্তির লাইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরেন। এই সময়ে ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির ৩য় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসে সংশোধনবাদী ক্রুশ্চেভের তিন শান্তির লাইনের পক্ষে বক্তব্য গৃহীত হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। কমরেড আবদুল হক ক্রুশ্চেভ চক্রের তিন শান্তির লাইনের বিপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরার কারণে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হতে পারেন নাই।

কংগ্রেসের পর পার্টিতে তীব্র মতাদর্শগত সংগ্রাম শুরু হয়। কমরেড আবদুল হকসহ এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা কর্মীরা সংশোধনবাদী ক্রুশ্চেভ চক্রের বিরোধিরা সর্বাহারার একনায়ত্ব বাতিল ও তিন শান্তির লাইনের বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এই সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার ও কমরেড তোয়াহাও এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন।

তীব্র মহাদর্শগত সংগ্রামের প্রেক্ষিতে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। মতাদর্শগত সংগ্রামের পরিণতিতে ১৯৬৭ সালে আলাদা পার্টি ও আলাদা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। পার্টির চতুর্থ কংগ্রেসের ভিতর পার্টির নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পাটি (এম-এল) [CPEP(M-L)]। তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করা হয় মার্কসবাদ লেনিনবাদ মাও সেতুং চিন্তাধারা। এই সময়ে কমরেড আবদুল হক ও তার পার্টি তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসাবে মার্কসবাদ লেনিনবাদকে গ্রহণ করে সঠিক পদক্ষেপে অগ্রসর হলেও সংশোধনবাদী মাও চিন্তাধারাকে তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে বেঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

পার্টির তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসাবে মার্কসবাদ লেনিনবাদ মাও চিন্তাধারাকে গ্রহণের পর পার্টিতে আবার সংশোধনবাদী মাও চিন্তাধারার প্রভাব পড়ে। যার প্রেক্ষিতে পার্টিতে মতিন- আলাউদ্দীন গং সংশোধবাদী তত্ত্ব তুলে ধরে। ১৯৬৯ সালে তারা কৃষিতে ধনবাদ প্রধান এই সংশোধনবাদী বক্তব্য তুলে ধরে। এর প্রতিবাদে কমরেড আবদুল হক পূর্ব বাংলা আধা ঔপনিবেশিত আধা সামন্তবাদী নামক বই প্রকাশ করে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। সংশোধনবাদী মাও চিন্তাধারার প্রভাবে পার্টিতে আবার বিভক্তি দেখা দেয় এবং মতিন আলাউদ্দীন দেবেন বাসারা মিলে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) গঠন করেন।

বাংলাদেশ পর্বে ১৯৭৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলে এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমানের সরকারকে দেশপ্রেমিক সরকার আখ্যায়িত করে পার্টির একাংশ। কমরেড আবদুল হক জিয়া সরকার দেশপ্রেমিক সরকার এই সংশোধনবাদী সুবিধাবাদী তত্ত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালে সত্য মিত্র, ইদ্রীস লোহানী পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা দল গঠন করেন। .

চীনে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা মাও সেতুং সংশোধনবাদ সুবিধাবাদের বিরোধিতার নামে পার্টিতে আরেক রূপের সংশোধনবাদের চর্চা করেছেন। তার ভিতরে ডান সুবিধাবাদী মতবাদের বিস্তার অনেক আগে থেকে লক্ষ্য করা যায়। তার পরও তিনি কমিউনিস্ট অবস্থান থেকে চীনে সাম্রজ্যবাদ সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করেন। তবে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পথ অনুসরণ করেননি।

জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পর তিনি খোলামেলাভাবে সংশোধনবাদ সুবিধাবাদের অনুশীলন করতে থাকেন। তার এই সংশোধনবাদের রূপ ছিল শ্রেণি সংগ্রামের নামে শ্রেণি সমন্বয়ের লাইন। ফলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি একস্তরী পার্টি হিসাবে গড়ে উঠতে পারেনি। পার্টিতে বিভিন্ন উপদলের অস্তিত্ব ছিল।

মাও সেতুং এর জীবত অবস্থায় দেং জিয়াও পিং ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে ত্রিবিশ্ব তত্ত্ব নামে এক সংশোধনবাদী সুবিধাবাদী তত্ত্ব প্রচার করেন। মাও এর মৃত্যু পরবর্তিকালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে তা পুনাঙ্গ তত্ত্বাকারে উপস্থাপন করা হয়। ১৯৭৮ সালে কমরেড আবদুল হক এর পার্টিতে তার প্রভাব পড়ে। ত্রিবিশ্ব তত্ত্ব নামে বিষয়টি কমরেড আব্দুল মতিন (মুনীর) নামে একজন কমরেড উপস্থাপন করেন। কমরেড আবদুল হক ও তার কেন্দ্রীয় কমিটি এই তত্ত্বকে সংশোধনবাদী সুবিধাবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং সংশোধনবাদী সুবিধাবাদী এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কমরেড আব্দুল মতিন (মুনীর) এই তত্ত্বের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করায় বিষয়টি প্লেনামে ফয়সালা হবে নির্ধারিত হয়। কিন্তু কমরেড আবদুল হক ও তার পার্টির বক্তব্যকে উপস্থাপন না করে, প্লেনামে না গিয়ে আব্দুল মতিন (মুনীর) একতরফাভাবে পার্টি ভেঙ্গে বেরিয়ে যান।

ত্রিবিশ্ব তত্ত্ব নিয়ে অনুশীলনের সময়ে এই তত্ত্বের উৎস যে সংশোধনবাদী মাও চিন্তাধারা বিষয়টি সামনে আসে। তখন মাও চিন্তাধারার পর্যালোচনা করে কমরেড আবদুল হক দেখান যে, মাও চিন্তাধারা হলো সংশোধনবাদী সুবিধাবাদী ও শ্রেণি সমন্বয়ের লাইন। কমরেড আবদুল হক ও তার পার্টি সংশোধনবাদী মাও চিন্তাধারাকে বর্জন করে এবং মার্কসবাদ লেনিনবাদকে পার্টির তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে। সাথে সাথে পার্টিকে বলশেভিক চরিত্র সম্পন্ন পার্টি হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। এইভাবে কমরেড আবদুল হক সংগ্রাম করেছেন শ্রমিক শ্রেণির বিশ্বস্ত বন্ধু হিসাবে শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থে। শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থে আত্মস্বার্থ, ব্যক্তিস্বার্থ, আত্মচিন্তাকে বিসর্জন দিয়েছেন অকাতরে।

তিনি সকল রূপের সংশোধনবাদ সুবিধাবাদের বিরোধিতা করেছেন শ্রমিক শ্রেণির অবস্থান থেকেই। সংশোধনবাদ সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন আপসহীন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আবদুল হক নামের অর্থ সত্যের সন্ধানী। তিনি সত্যের সন্ধান করেছেন শ্রমিক শ্রেণির প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *