পরিষেবা বিল বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহ স্কপ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ ময়মনসিংহ জেলা। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান উপলক্ষে ১৩ জুন সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্কপের জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সভাপতি মাহবুব বিন ছাইফ এর সভাপতিত্বে সমাবেশটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের জেলা কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সভাপতি এডভোকেট হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সংগঠক ইমাম হোসেন খোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সভাপতি সামসুল আলম খান ও জাতীয় শ্রমিক জোটের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৬ এপ্রিল ২০২৩ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বা.জা.স বিল নং- ১২/২০২৩ উত্থাপিত হয়েছে। অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল নামে এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, “আপাত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।“ ফলে এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রম আইনের উপর এই আইন প্রাধান্য পাবে। অথচ শ্রম আইনে বলা হয়েছে “ এই আইনের অন্যত্র ভিন্নরূপ কিছু নির্ধারিত না থাকিলে, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।“ সে কারণে আমাদের আশংকা যে, এই অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল আইনে পরিণত হলে তা শ্রম আইনকে অকার্যকর করে ফেলবে। কারণ, শ্রম আইনের ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন, ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিস্পত্তির বিধান আছে। বিরোধ নিস্পত্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে গেলে ২১১ ধারায় ধর্মঘটের বিধান এবং পদ্ধতির উল্লেখ করা আছে। ফলে এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রম আইনে ধর্মঘটের যতটুকু আইনসংগত অধিকার আছে সেটাও বাস্তবে কেড়ে নেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই আইন দেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার গৃহীত নীতিমালা, সুপারিশ এর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। ফলে এই আইন প্রণীত হলে তা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনকে লঙ্ঘণ করা হবে। সামগ্রিক বিবেচনায় এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোাষ ও উত্তেজনার বীজ বপন করা হবে। তাই গণতান্ত্রিক শ্রম পরিস্থিতির স্বার্থে অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহার করতে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে স্কপ নেতারা জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমানের স্বাক্ষাৎ না পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: পারভেজুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *