প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদণা প্যাকেজে মেকানিক্সদের অন্তর্ভুক্ত না করায় মেকানিক্স ইউনিয়নের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২০০ কোটি টাকার নতুন পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রণোদণা প্যাকেজে মটরস ওয়ার্কসপ মেকানিকদের অন্তর্ভুক্ত না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ময়মনসিংহ জেলা মটরস ওয়ার্কসপ মেকানিক্স ইউনিয়নের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খোকা। এক যুক্ত বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করে মটরস ওয়ার্কসপ মেকানিকদের প্রণোদণা প্যাকেজের অর্ন্তভুক্ত করার দাবি করেন নেতৃদ্বয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক ও শ্রমজীবি মানুষেরা সংখ্যা মোট প্রায় ৬ কোটি ৮২ লক্ষ। যার মধ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত এর প্রায় শতকরা ৮৫ ভাগ। তার মধ্যে মটরস ওয়ার্কসপ মেকানিকদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। তার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ইউনিয়নের পরিচয়পত্রধারী মেকানিকদের সংখ্যা প্রায় ২৫০০ জন। চলমান লকডাউনের কারণে এই সেক্টরের শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ মেকানিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অধিকাংশের ওয়ার্কসপ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে প্রেক্ষিতে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করা মটরস ওয়ার্কসপ মেকানিকদের সরকারী সহযোগিতার আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। তাতেও সরকারের পক্ষ থেকে মেকানিকদের সহযোগিতার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো উল্লেখ করেন,ঘোষিত প্রণোদণার মধ্যে অনুদানের অংশ মাত্র ৭০০ কোটি টাকা, বাকি ২৫০০ কোটি টাকা হলো ৪% সুদে ঋণ সহায়তা। অনুদানের ৭০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ করা হবে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জনকে অর্থ সহায়তা দেয়ার কাজে। অর্থ সহায়তা যারা পাবেন তাদের মধ্যে দিনমজুর ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন, পরিবহন শ্রমিক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ও ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ-পরিবহন শ্রমিক। ১৫০ কোটি টাকা খরচ হবে শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে ২০ হাজার টন চাল ও ১৪ হাজার টন আটা বণ্টনের কাজে। এ জন্য ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাকি ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৩৩৩ ফোন নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়া মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দের জন্য। অন্যদিকে ৪% সুদে যে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেয়া হবে তার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা যাবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃজনের কাজে ঋণসহায়তায় এবং ১ হাজার কোটি টাকা যাবে পর্যটন খাতের হোটেল, মোটেল ও থিমপার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণসহায়তা হিসেবে। যা হচ্ছে প্রণোদণার নামে দেশের শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে এক ধরণের প্রহসন করা বলে নেতৃদ্বয় মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *