ময়মনসিংহে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন

গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে ১৪ আগষ্ট ময়মনসিংহের র‍্যালী মোড় অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারীনেত্রী আরাফাত জাহানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি হযরত আলী, সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, প্রগতিশীল নেতৃত্ব অসীম দাদ খান, জাতীয় ছাত্রদলের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহবায়ক শাপলা আক্তার, যুগ্ম আহবায়ক রবিন মিয়া,গৃহকর্মী অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক হাসিনা বেগম প্রমুখ।

এসময় বক্তাগণ লড়াকু নেত্রী অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর জীবনী তুলে ধরে বলেন, অধ্যাপিকা হামিদা রহমান এঁর জন্ম ১৯ জুলাই ১৯২৭।
২০০৫ সালের এই দিনে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ সভাপতি সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ আমলা দালাল পুঁজি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী। লড়াকু ও সংগ্রামী এ নেত্রী বলেছিলেন এদেশের নারীগণ সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, দালাল পুঁজির দ্বারা নিপীড়িত, আর বিভিন্ন রকম সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারে শৃঙ্খলিত। নারীদের এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন এসব শোষণ থেকে মুক্তি এবং নারী সমাজের অবস্থা ও দাবি দাওয়া তুলে ধরার জন্য নারী সংগঠনের গুরুত্ব তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। তিনি বলতেন সংগঠনের মাধ্যমে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট নারীরা এগিয়ে যাবে সর্বাগ্রে নির্যাতিত নারীদের পাশে পাশাপাশি পুরুষেরও উচিত পুরুষের প্রয়োজনে নারীদের আন্দোলন সংগ্রামে শরীক হওয়া। এ জন্য প্রতিমাসে তিনি একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসতেন। যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রী থাকাকালে ১৯৪৫ সালে এই অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলন তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলে। কৃষকদের সমস্ত শষ্য যখন জোতদাররা কেড়ে নিয়ে যেত, সে সময় তিনি এই সংবাদে ব্যাথিত হন এবং একটি কবিতা রচনা করেন ‘কৃষক’ নামে। তেভাগা আন্দোলনের নেতাদের কাছেই মূলত তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি।
কলিকাতা ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুলে ছাত্রী থাকাকালে ২য় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাহতদের সেবার জন্য এ্যাম্বুলেন্সে দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় বক্তাগণ আরো বলেন, শ্রমিক শ্রেণীর বিপ্লবী ধারার সাথে নারী মুক্তি আন্দোলনকে যুক্ত করতে
১৯৯৪ সালের ৮ মার্চ টিএসসি’র সবুজ চত্বরে ডাঃ এম.এ.করিমের সভাপতিত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নারী সংগঠনটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।যার নাম হয় “গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’। তিনি নিজে এই নারী শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। হামিদা রহমান বিশ্বাস করতেন যে, বিপ্লব একটা রাজনৈতিক দলের একার কাজ নয় এটি শ্রমিক কৃষক নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মেহনতি মানুষের কাজ। তিনি যে আদর্শ ধারণ করতেন, যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য সকল মুক্তিকামী নারীদের এগিয়ে আসা উচিত। নারী আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে সাম্রাজ্যবাদ, তার দালাল সরকার, ও এনজিওদের নারীবাদীতার স্বরুপ উন্মোচন করে নারী মুক্তির লক্ষে নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *