ময়মনসিংহে নার্সিং শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

শহর প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজে তৌহিদুল ইসলাম (১৩ তম ব্যাচ) নামের এক নার্সিং শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আল আমিন আকন্দ অপূর্ব ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দুজনেই ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট রাত ১১ টা থেকে রাত ১২.৩০ টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০২ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার,সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ, ছাত্রী নিবাসের ভিতরে গিয়ে মেয়েদের রুমে প্রবেশ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য ভয় ভীতি দেখানো, এমনকি রুমে ডেকে নিয়ে জীবন নাশের হুমকি ও মারপিট করা, কলেজের সিনিয়র শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা,এসোসিয়েশন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে আল আমিন ও সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আল আমিন ও সোহেল মিয়ার অসৎ কার্যকলাপে সহযোগিতা না করায় ডাইনিং রুম থেকে খেয়ে রুমে ফেরার সময় তৌহিদুল ইসলামকে আল আমিন ও সোহেল মিয়া জোর-জবরদস্তি করে তাদের রুমে নিয়ে অবরুদ্ধ করে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে নির্মমভাবে অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ১১তম ব্যাচের অন্য একজন শিক্ষার্থী ঘটনা জানার পর ফ্লোর এর দরজা খুলে দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গিয়ে সন্ত্রাসী ছাত্রদ্বয়ের হাত থেকে ভিকটিম কে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এবং অধ্যক্ষ বরাবর ছয় দফা দাবি সম্বলিত একটি দরখাস্ত দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ নাজমা খাতুন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। পরিচালক এবং শিক্ষকদের নিয়ে একটি সভা ডেকেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *