সরিষাবাড়ীতে ভিজিএফের চাল যাচ্ছে পাইকারদের গুদামে?

মতিউর রহমান,সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে হৃদ দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য সরকারী খাদ্য সহায়তার ভিজিএফ চাল পাইকারদের গুদামে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও জনপ্রতি ১০ কেজি চাল বরাদ্ধ থাকলেও ৮ কেজি সাড়ে ৮ কেজি বা ৯ কেজি করে চাল প্রদাান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

৩ এপ্রিল উপজেলার বৃহত্তর ইউনিয়ন ২নং পোগল দিঘা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গঁনে ভিজিএফ চাল বিতরণ কেন্দ্র ঘুরে জানা যায়, আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে পোগল দিঘা ইউনিয়ন পরিষদে মোট ৬৭,৬৪০ মেঃটন বা জন প্রতি ১০ কেজি করে ৬ ৭ হাজার ৬” শ ৬৪ জনের জন্য ভিজিএফ কার্ড সরকারী বরাদ্ধ দেয়া হয়। ৩ এপ্রিল ১১ ঘটিকায় ভিজিএফ চাল বিতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় প্রকৃত কার্ডধারীর তুলনায় সিংহ ভাগ ভিজিএফ সহায়তার কার্ড পাইকারী লোকদের হাতে। প্রধান দুই পাইকার গণি ও আব্বাস প্রতিটি ভিজিএফ কার্ড ২৫০টাকা দরে ক্রয় করে শিশু ও মহিলাদের প্রতি কার্ডের বিপরীতে ১০ টাকা করে পারিশ্রমিক দিয়ে চাল উত্তোলন করে গুদাম জাত করছে। দরিদ্র শিশু ও মহিলারা ১০ টাকার বিনিময়ে রৌদ্র উপেক্ষা করে ঝুকি নিয়ে চাল উত্তোলন করে পাইকাদের গুদামে পৌছে দিচ্ছে। যে যত বেশী কার্ডের চাল উত্তোলন করে দিবে সে তত বেশী আয় করতে পারবে। এ ছাড়াও একাধিক চাল উত্তোলন কারির চাল মিটারে পরিমাপ করে দেখা গেছে ৮ কেজি বা সাড়ে ৮ কেজি কিংবা কোনটা ৯কেজি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার রুহুল আমিন বেগের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পাবলিক যদি কার্ড বিক্রি করে তবে আমাদের কি করণীয় আছে। ওজনে কম দেয়া হচ্ছে না। প্রতি কার্ডে ৯কেজির উপরে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আশরাফুল আলম মানিক ও মোবারক মেম্বার এ সময় ইউনিয়ন পরিষদেই অবস্থান করছিলেন।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন বিষটি দেখবো। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৈশলী শওকত জামিলের মুঠো ফোনে একাধিক বার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আরিফ বলেন এটি ট্যাগ অফিসারের বিষয় তিনিই দেখবেন।

বর্তমান সময়ে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি অংশ হিসেবে বৃদ্ধি পাচ্ছে চালের দামও। সরকার প্রতি কেজি চাল ৪৩ বা ৪৪ টাকা
দরে ক্রয় করে থাকে। খোলা বাজারে মোটা চালও ৫২-৫৪ দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেব মতে ৬৭.৬৪০ মেঃটন চালের বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। ভিজিএফ চাল প্রকৃত দরিদ্র জনসমষ্টির মাঝে বিতরণ না হওয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। ওই ভিজিএফ চাল ই এাধিক হাত বদল হয়ে সরকারী গুদামেই ঢুকবে, তেমনটি অভিমত সচেতন মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *