১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধ করার আহবান ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

স্টাফ রিপোর্টার:  আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহবান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা মহামারীতে চলমান লকডাউনে যখন প্রায় সব শিল্প সেক্টর বন্ধ তখন গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে মালিকরা কাজ করাতে বাধ্য করেছে। সকল শ্রমিকদের কারখানা কর্তৃক পরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও মালিকরা তা প্রদান করে নি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক দূর থেকে পায়ে হেঁটে বা কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ব্যক্তিগত পরিবহনের ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের কারখানায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। তার বিনিময়ে শ্রমিকদের কোন ঝুঁকিভাতা বা অতিরিক্ত পরিবহন খরচ পরিশোধের কোন প্রতিশ্রুতি মালিকরা প্রদান করে নি।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, প্রত্যেক ঈদ উৎসবেই দেখা যায় বেতন বোনাস নিয়ে মালিকরা সমস্যা সৃষ্টি করে। ঈদের দিনেও শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য কারখানায় অবস্থান করতে হয়। এ তারিখেও অনেক কারখানায় ১৮/১৯ তারিখে বেতন বোনাস পরিশোধের কথা বলছে মালিকরা। এ প্রেক্ষিতে আশংকা প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় বলেন, এর ফলে দেখা যাবে ব্যাংকের ঝামেলার কথা বলে শ্রমিকদের বেতন বোনাস অনিশ্চিত করে তুলবে মালিকরা। তাই ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সকল কারখানায় সম্পূর্ণ বেতন-বোনাস পরিশোধ করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে অবস্থিত হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক হত্যার দায় কোম্পানির মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শুধু নয়। কারখানার পরিদর্শন ও লাইসেন্স প্রদানের সাথে যুক্ত যেসব দপ্তর রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত করতে হবে।

একই সাথে সকল নিহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন-১২১ অনুযায়ী একজীবনের আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপুরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ এবং পুর্নবাসন করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও নেতৃদ্বয় নিখোঁজ শ্রমিকদের অবিলম্বে উদ্ধার এবং তার সংখ্যা প্রকাশ করে অগ্নিকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ী সকল পক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কথা বলেন। অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ সকল কারখানা বন্ধ করে দেওয়া এবং সকল শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *