রাজধানীর চকবাজারের অগ্নিদগ্ধ হয়ে হোটেল শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেডারশেনের গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
প্রেসবিজ্ঞপ্তি: অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাজধানীর চকবাজারের বরিশাল হোটেলের ৬ জন হোটেল শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে শোক প্রকাশের সাথে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উল্লেখ করেন, আজ বেলা ১২টার দিকে আগুন লাগে হোটেলটিতে। রাতে ডিউটি করে হোটেলের একটি রুমে ঘুমাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তখন ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হোন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন ধরে হোটেল শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও নিরাপদ বাসস্থানসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। হোটেল সেক্টরের মালিক ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ে শ্রমিকদের আইনি অধিকার বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে ফেডারশেন। কিন্তু সরকার ও মালিক কোন পক্ষ থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি। এর পরিণতিতে আজ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হোটেল শ্রমিকের জীবন দিতে হলো।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করেন, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির গেজেট অনুযায়ী শ্রমিকদের মূল মজুরির ৪৫% বাড়ি ভাড়া দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু হোটেল মালিকরা শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা না দিয়ে স্ব স্ব হোটেল রেস্টুরেন্টেই এক কোণায় শ্রমিকদের থাকতে দেয়। অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশে থাকার কারণে শ্রমিকরা বড় বড় রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালেই জীবন হারায়। আর প্রায়শই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকাল মৃত্যু ঘটে। কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকারী সংস্থা কলকারখানা অধিদপ্তর থাকলেও এই সংস্থা অদৃশ্য কারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। ফলে বিভিন্ন কারণে শ্রমিকদের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। এ প্রেক্ষিতে নেতৃদ্বয় অগ্নিদগ্ধ ঘটনার জন্য দায়ী মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। একই সাথে নিহত সকল শ্রমিকের পরিবারকে শ্রমিকের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আহবান জানান।