কিশোরগঞ্জ পারিবারিক পুষ্টি বাগান চাষাবাদে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

আমিনুল হক সাদি; কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে সবজি-মশলার চাষাবাদে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । বসতবাড়ির আঙিনার পাশাপাশি অনাবাদি ও পতিত জমিতেও এই বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে কৃষক কৃষাণীদেরকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব বাগান আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ সদরে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প এর আওতায় সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে সদরের ৩৩৯ টি পুষ্টি বাগান বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৮ হাজার ৪ শ ৭৫ কেজি শাক সবজি উৎপাদন হয়েছে। এর উৎপাদন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে কৃষি বিভাগ। এসব বাগান স্থাপিত হওয়ায় ৩৩৯টি পরিবারের মোট ১৩৭৫ জন মানুষের পুষ্টি চাহিদা পুরণ হয়েছে। চাহিদার অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হয়েছে চাষিরাও। সম্প্রতি সদর উপজেলার পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্প কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী দিলরুবা ইয়াসমিন। পরিদর্শনকালে সদরের প্রদর্শনী এলাকার পারিবারিক পুষ্টি বাগান দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সদরের মহিনন্দের পারিবারিক পুষ্টি বাগান চাষি আমিনুল হক সাদী বলেন,কৃষিবান্ধব সরকারের এ প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কৃষক কৃষাণীদেরকে প্রশিক্ষিত করে প্রয়োজনীয় বীজ সহায়তা দিচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের এ উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আমাদের সদরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যেখানে ৪২ টি পুষ্টি বাগান ছিলো আর এখন ৩৩৯ এ পৌঁছেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম যোগদানের পর সদরে এসব পুষ্টি বাগান বেড়েছে বলে জানা গেছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম জানান,পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অনাবাদি, পতিত ও বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এতে একদিকে পারিবারিক পুুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে,অন্যদিকে মশলা জাতীয় ফসলেরও উৎপাদন হচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের যাবতীয় ব্যয় সরকারের তরফ থেকে বহন করা হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চাষিদেরকে প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও উদ্বদ্ধ করা হয়। ফলে সদরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরাও উৎসাহিত হয়ে এসব পুষ্টি বাগানের দিকে ঝুঁকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *