গরমে ও অব্যবস্থাপনায় তীব্র ভোগান্তির শিকার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা গ্রহীতাগণ

স্টাফ রিপোর্টার:  চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে অসহ্য গরম  এবং অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া ময়নসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেবা গ্রহীতাগণ । ভুক্তভোগীরা তাদের দুর্দশা কোথাও জানানোর সুযোগ না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। ময়মনসিংহ হেল্পলাইনে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে যেসব পোস্ট করেছেন তার অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো। আশরাফুর রহমান নামে একজন পোস্ট করেন, গতকাল ১৯ মে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ২৫ নং শিশু ওয়ার্ডে। এই আম কাঠাল পাকা গরমে এক একজন মা কতটা কষ্ট নিয়ে বসে শুয়ে আছে যা বলার মত না। এরকম প্রটিটা বারান্দায় এভাবের বসে আছে অনেকেই কষ্ট নিয়ে। একটা জিনিষ লক্ষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই বারান্দায় কিছু ফ্যান লাগাতে পারে রোগিদের গরমের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এবং বারান্দার উপরের বেশ অনেকরা জায়গা আছে। ফ্যানের ব্যবস্থা না করতে পারলেও কিছু মাল্টি সিষ্টেম কারেন্টের লাইনের ব্যবস্থা করতে পারে রোগীদের প্রয়োজনে। একজন রোগী যদি নিকজের একটি ফ্যান নিয়ে যায় তাহলে আশে পাশের কিছু মানুষ অনন্ত বাসাত উপভোগ করতে পারবে।  আশা রাখি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ ২ টার একটা ব্যবস্থা করবেন এই গরমের হাত থেকে রোগীদের কিছু রক্ষা করার জন্য। আশরাফুর রহমানের পোস্টে মন্তব্য করতে যেয়ে  মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান লিখেন, ভাই আমি আমার ছেলেকে নিয়ে চার দিন ছিলাম মেডিকেলে 25 নম্বর ওয়ার্ডে যে জায়গার ছবি তুলেছেন ঠিক সেই জায়গাতে ভাই ব্যাপারটা হচ্ছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড মূলত নবজাতক শিশুদের জন্য এখানে রোগী হিসেবে গণ্য হলো শুধু শিশু যার কারণে অভিভাবক যারা আছে তারা কিন্তু রোগী না এজন্য তারা বিষয়টা অত মনোযোগ দেয় না বিশ্বাস করেন খুব কষ্ট হয় গরমে ভাই যদি আপনার রাতে ভুল করে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সর্বনাশ টয়লেট করতে যাবেন ১০ টাকা রেখে দিবে প্রস্রাব করতে যাবেন ৫ টাকা রেখে দিবে গোসল করতে যাবেন ২০ টাকা রেখে দিবে ভাই টাকার খেলা মেলা মনের কথা বলেছেন কর্তৃপক্ষকে এখানে একটি ব্যবস্থা করা দরকার যাতে করে মা-বাবারা সন্তানদেরকে নিয়ে এসে একটু সুস্থ মস্তিষ্কে এখানে রেস্ট নিতে পারে ও প্রস্রাব পায়খানার ব্যবস্থা যাতে থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যাপারটা এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভাই কষ্টের কথা কি বলব ময়মনসিংহ সদরে বাসা আমার আমার ছেলেকে নিয়ে চার দিন থাকার পর অনেকগুলা পরীক্ষা দিল এক্সরে দিল সব করাইলাম হাসপাতালে চিকিৎসা এমন অবস্থা হইছে বলার বাইরে ভাই হাসপাতালে দুর্নাম করলে আমাদেরই ক্ষতি এতে করে অন্য বিভাগে মানুষেরা হাসবে কিছু কথা না বললেই নয় ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে গার্ড আনসার বাহিনী এবং ওয়ার্ড বয় প্রত্যেক জনের ব্যবহার খারাপ আপনি কিছু বলতে যাবেন বিনিময়ে টাকা চায় এমন সিচুয়েশনে আপনি কিছুই করতে পারবেন না তিন বছর ইন্টারনেট সেবা দিয়েছি মেডিকেলে এখনো চলছে তারপরও তাদের ব্যবহার থেকে রক্ষা পায়নি। চিকিৎসার কথা আর কিছু বললাম না। মাছুদ ছালেহী নামে আরেকজন লিখেন,  আমি নিজে ভোক্তভোগী শেষে হাদিয়া দিয়ে সিট পেয়েছিলাম, বাট চাদর পাইনি,ডাক্তার নার্স সবাই কে বলেছি,শেষে সিকিউরিটি গার্ডের পরামর্শে ক্লিনার কে হাদিয়া দিয়ে চাদরও পেয়েছি।আশরাফুর  রহমানের পোস্টে মন্তব্য করেন শরীফুল ইসলাম শরীফ। তিনি লিখেন,  এসব বলে কোনো ফলাফল আসবে? মনে হয় না। আমার বাবার পায়ের অপারেশন করে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম বেশ কিছুদিন,অপারেশন করার জন্যে ডেকে নিছে রাত ৯ টার দিকে অথচ অপারেশন করছে রাত ২ টার পরে। যারা ওয়ার্ড বয় রে টাকা দিছে তাদের অপারেশন টাই আগে করছে, দেখে শুধু ঘৃণা করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি নাই, এই হচ্ছে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *