ময়মনসিংহে আইনজীবীকে মারধর করায় অতিরিক্ত ডিআইজি’র এনামুল কবিরের অপসারনের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ময়মনসিংহের এক আইনজীবিকে বেধরক পিটিয়েছেন অতিরিক্ত ডিআইজি। অভিযোগ উঠেছে- আইজনজীবি পরিচয় পেয়েই রড হাতে পেটাতে শুরু করেন অতিরিক্ত ডিআইজি। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আইনজীবি সমিতি জরুরি সভা করে অভিযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজিকে স্থায়ী বরখাস্তসহ দুইদফা দাবি দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন। অন্যায়ভাবে আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় বারের এক হাজার তিনশত আইনজীবীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

১৫ জুন বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় ময়মনসিংহ আইনজীবি সমিতিতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, আইনজীবি সমিতির সদস্য আশিকুর রহমান তার ভাই মিজানুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আইনজীবি আশিকুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার (১৪জুন) ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরের কার্যালয়ে বেলা আড়াইটায় পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হলে অভিযোগ সম্পর্কে শুনানি নেওয়া হয়।

ওই সময় অতিরিক্ত ডিআইজি আশিকের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুই বাকা হয়ে ঘাড় তেড়া করে দাঁড়িয়েছিস কেন? তুই কার সামনে দাঁড়িয়েছিস জানস?- এই কথা বলেই কাছে গিয়ে আইনজীবীকে চরথাপ্পর দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আশিক নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কনস্টেবলের মাধ্যমে রড এনে হাতে ও পায়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করে ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে আশিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আইনজীবি সমিতিতে অভিযোগও দেন আশিক।

বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় জেলা আইনজীবি সমিতি এক জরুরি সভা করে। ঘটনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে সভায় আইনজীবি সমতির সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। সভায় সকল আইনজীবিরা সিদ্ধান্ত নেয় অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবীরকে বরখাস্ত করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনজীবি সমিতিকে জানাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অ্যাড. এ.এইচ.এম. খালেকুজামান, কবির উদ্দিন ভূঞা (পিপি), বিকাশ চন্দ্র রায়, নূরুল হক, আবুল কালাম মো: আজাদ, এমদাদুল হক মিল্লাত, আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ, সাইফুল ইসলাম (জিপি), পীযুষ কান্তি সরকার, নজরুল ইসলাম চুন্নু, শিব্বির আহাম্মেদ লিটন, এবিএম নূরুজ্জামান খোকন, আব্দুল মোতালেব লাল, রাখাল সরকার, বিপুল রায় অপু, আব্দুল রারেক, মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী ও আনোয়ারুল ইসলাম প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *