এনবিআরের সহযোগিতায় সীমান্তে স্থলবন্দর চালুর কার্যক্রম নেয়া হবে– নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক

নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকে ঘিরে স্থলবন্দর চালু হওয়ার অপার সম্ভাবনা থাকলেও সরকারিভাবে নেয়া হচ্ছে না তেমন কোন পদক্ষেপ।

বন্দরগুলো চালু করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে তেমন কর্মসংস্থান না থাকায় স্থানীয়ভাবে দিন দিনই বাড়ছে বেকারত্ব। শুধুমাত্র এনবিআরের গাফিলতি ও অসহযোগীতার কারণেই বন্দরগুলো চালু সম্ভব হচ্ছে না বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা। প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এ দুই উপজেলায়। সুযোগ রয়েছে স্থলবন্দর স্থাপনের। এতসব সম্ভাবনা থাকার পরও গড়ে ওঠেনি তেমন কোন কর্মসংস্থান। এতে বেড়েই চলেছে স্থানীয়দের বেকারত্বের সংখ্যা। একমাত্র আমন ফসল ছাড়া নেই কোন আয়ের উৎস। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন পরে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটছে।

সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলায় দূর্গাপুরের বিজয়পুর ও কলমাকান্দা উপজেলার রামনাথপুরে দুটি স্থলবন্দর চালু হওয়ার অপার সম্ভাবনা দেখছেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। রামনাথপুর স্থলবন্দর উদ্যোক্তা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহাবসহ ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট সমবায় সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ২০১৩ সাল থেকেই কলমাকান্দার রামনাথপুর স্থলবন্দরটি চালু করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কয়েক দফা চিঠিতে ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়েছে আলোচনায়। তবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অনেক আগেই।

কিন্তু শুধুমাত্র বাংলাদেশ এনবিআর (রাজস্ব) সংশ্লিষ্টরা তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়ায় চালু হচ্ছেনা বন্দরগুলো। তারা জানান, দেশের অন্যান্য বন্দরগুলো থেকে এখানকার অবস্থান অনেক ভালো। চালু হলে কম খরচেই আনা যাবে পাথর, কয়লাসহ অন্তত ১৮ প্রকার বিভিন্ন পণ্য। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে পৌঁছে যাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বেকারত্ব গুছিয়ে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ।

এদিকে এনবিআর (রাজস্ব) কর্মকর্তারা ক্যামেরায় কথা না বললেও দায়িত্বরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেল বছর দূর্গাপুর স্থলবন্দরটি চালু হওয়া প্রসঙ্গে আলোচনা হলেও এখন আর নেই।

কলমাকান্দার রামনাথপুর সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য নেই নেত্রকোণা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট জেলা রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ে । এগুলোর জন্য মূলত একই দপ্তরে প্রধান কার্যালয়ে আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারাই ভালো জানেন। তবে সংশ্লিষ্টরা সম্ভাবনাময় সীমান্ত দুই উপজেলাতেই বন্দর কার্যক্রম হাতে নেয় তাহলে দু-দেশের সম্পর্ক আরো বাড়বে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস জানান ,
সরকারি যেকোন সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করা হবে। অতি দ্রুত বন্দরগুলো চালু করতে উদ্যোগ নিবে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *