নান্দাইলে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে প্রাণ দিতে হলো বড় ভাইয়ের

শামছ ই তাবরীজ রায়হান

টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে কোপাচ্ছিলেন বড় ছেলে সুনু মিয়া(২৮)। ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু সুনুর ছোটবোন। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ছোটভাই রিফাত মিয়া। কিন্তু ভয়ে কাছে যেতে না পেরে একটি লাঠি দিয়ে বড় ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে সুনু মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মূমুর্ষ অবস্থায় পরে বাবা-ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান সুনু মিয়া। অন্যদিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাবা।মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পুরহরি গ্রামে। নিহত সুনু মিয়া ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের (৫৫) ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী চাচা সালাউদ্দিন জানান, সুনু মিয়া নেশা করতেন। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তার বাবা আবদুস সাত্তার বাজার থেকে বাড়িতে আসেন। ওই সময় সুনু মিয়া বাবার কাছে কিছু টাকা চায়। কিন্তু নেশার পিছনে খরচ করবে বলে আবদুস সাত্তার টাকা দিতে অস্বীকার করেন । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুনু মিয়া ঘরে থাকা কোদাল নিয়ে বাবাকে কোপানো শুরু করেন। এ দৃশ্য দেখে সুনুর কিশোরী বোন চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে সুনুর ছোট ভাই রিফাত মিয়া (১৬) সেখানে আসে। কোপানোর দৃশ্য দেখে প্রথমে সে ভয় পেয়ে যায় । পরে বাবাকে বাঁচাতে একটি লাঠি দিয়ে বড় ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে সে। এতে সুনু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুজনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সুনু মিয়া মারা যান।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,নিহত সুনু মিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। তার অপ্রকৃতস্থ অবস্থা দেখে অনেকেই ভয় পেত। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *