সরিষাবাড়ীতে অকেজো ব্রীজে লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরমে

জামালপুর প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ধ্বসে যাওয়া অকেজো ব্রীজের কারণে লক্ষাধিক মানুষের ভাগান্তি চরমে। গত ৩/৪ বছর আগে ব্রীজের ৪টি পিলারসহ মাঝামাঝি অনেকটা অংশ ধ্বসে যাওয়ায় যান ও জন চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানা যায়।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ীর চরাঞ্চল বেষ্টিত কামরাবাদ ইউনিয়নের জনগুরুপূর্ণ একটি রাস্তা সরিষাবাড়ী টু মাদারগঞ্জ। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ছোট বড় যান বাহন চলা চল করে থাকে। গত ৩/৪ বছর আগে শাহজাদা হাটের অদূরে পশ্চিম পাশে যমুনা শাখা নদীর উপর স্থাপিত ব্রীজটির মাঝের অংশ ধ্বসে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একমান সংযোগ ব্রীজটি ধ্বসে যাওয়ায় সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ অঞ্চলের যাতায়াতকৃত যান ও জন চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জন সাধারণের। স্বাস্থ্য ও দাপ্তরিক সেবাসহ প্রয়োজনীয় কর্মকান্ডের জন্য অসংখ্য মানুষকে শহরে যেতে হয়। মূমূর্ষ রোগী দ্রুত সময়ে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মা ও শিশু সেবার অন্তরায় ধ্বসে যাওয়া ব্রীজটি।

শুয়াকৈয়া নান্দিনা রৌহা কয়ড়া খামার মাগুরিয়া বিনজাইলসহ সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৩০ টি গ্রামের লক্ষাধিক বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ ও শত শত যান বাহন এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। ব্রীজটি ধ্বসে যাওয়ার কারণে বন্যার মৌসুমে খেয়া পারাপার হয়ে অনেক কষ্টে কর্ম সম্পাদন করতে হয়্। এতে সময় কষ্ট ও অর্থ বেশী ব্যয় হয়। কৃষি পণ্যাদি সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে না পারায় পচে গলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। জন গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন বহন করে থাকে। ব্রীজ নির্মান খুব-ই জরুরী।

এ বিষয়ে শুয়াকৈর নিবাসি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ৩/৪ বছর আগে ব্রীজটি ধ্বসে যাওয়ার পর আমাদের কষ্টের শেষ নেই। স্বাস্থ্য সেবা ও কৃষি সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ যাতায়াতের ক্ষেত্রেও চরম দূর্ভোগে আছে এ ব্রীজে চলাচলকারি চরাঞ্চলের মানুষ। ব্রীজটি দ্রুত সংষ্কার করার দাবী জানাই।

সম্প্রতি এমপি প্রার্থি আব্দুস সামাদ আজাদ তারা নির্বাচনি প্রচারনায় ওই অঞ্চল পরিদর্শন কালে সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অনুরোধ করে ব্রীজটি নির্মান বা সংষ্কারের বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *